আধুনিক মানুষ ঠকে কেনো??????
মানুষ ঠকে
মানুষ ঠকে কেনো?
মানুষ মূলত কিভাবে ঠকে ??????
ঠকে যাওয়া আর জিতে যাওয়ার relative পরিমাপ ও সম্ভব আবার ঠকে যাওয়ার absolute পরিমাপ ও সম্ভব। ঠকে যাওয়ার relative পরিমাপ নিয়ে আমার ব্যক্তিগত কোন ধরনের মাথাব্যথা নেই। কারণ 1 নিউটন force পৃথিবীর ভিন্ন প্রান্তে আলাদা হয় না।1 joule শক্তি ও গোটা পৃথিবীতে আলাদা আলাদা হয় না। একটা ইট কে গ্রাভিটি র উল্টো দিকে টেনে উপরে তুলতে পরিশ্রম ও ভিন্ন হওয়ার কথা নয়। তাহলে শ্রম এর মূল্য ভিন্ন ভিন্ন তৈরি করার প্রচলন থাকলে ফিজিক্স পড়ানো বন্ধ করে দেওয়া উচিত। একই শ্রম এর মূল্য যদি একই না দেন তাহলে ফিজিক্স পোড়ানোর কোন অর্থ হয়না অথবা শ্রম এর সংজ্ঞা তৈরি করার ও কোন অর্থ হয় না। শ্রম এর পারিশ্রমিক এর পরিমাণ অনুযায়ী back calculation করে অঞ্চল ভিত্তিক 1 নিউটন ফোর্স এর সংজ্ঞা পাল্টে নেওয়া উচিত।
আবার বলছি
একটা খুবই সাধারণ কথা কেউ বলে না
কোন ধরনের কাজে মাসে কতো বেতন আশা করা যায় সেই নিয়ে career কাউন্সিলিং কেউ করে না। প্রত্যেক career কাউন্সিলর বোধয় ধরে নিয়েছে স্রেফ খেতে পেলেই career তৈরি হয়ে যায় লোকের।
আবার বলছি
একটা খুবই সাধারণ কথা কেউ বলে না
কোন ধরনের কাজে মাসে কতো বেতন আশা করা যায় সেই নিয়ে career কাউন্সিলিং কেউ করে না। প্রত্যেক career কাউন্সিলর বোধয় ধরে নিয়েছে স্রেফ খেতে পেলেই career তৈরি হয়ে যায় লোকের। প্রশ্ন টা যুক্তিপূর্ণ, এবং বর্তমান প্রজন্মের ছাত্রছাত্রীদের জন্য একটি অত্যন্ত দরকারি দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে। Ppp মডেল এর সম্পূর্ণ ক্যালকুলেশন গুলো ছাড়া"ক্যারিয়ার" কথাটাকে বোকা বোকা মনে হয় আর career পেশার চেয়ে অনেক বেশি বড় করে দেখতেই হবে এবং একটি অন্তর্নিহিত সামাজিক ন্যায্যতা, ভবিষ্যতের টিকে থাকার লড়াই, এবং মানুষের "শ্রম"এর বিজ্ঞানভিত্তিক মূল্যায়ন হিসাবে তুলে ধরতেই হবে সমস্ত ক্ষেত্রে।
1. ঠকে যাওয়া ও জিতে যাওয়ার ব্যাখ্যা
Relative vs Absolute Measurement
ঠকে যাওয়া বা জিতে যাওয়ার সামাজিক ব্যাখ্যা subjective, কিন্তু পরিশ্রম বা শ্রম একধরনের "absolute" জিনিস, যার ফিজিক্যাল পরিমাপ হওয়া উচিত (নিউটন, জুল ইত্যাদি দিয়ে)।
সামাজিক শ্রমমূল্য ও ফিজিক্সের বৈপরীত্য
যদি একই রকম শ্রমের মূল্য এক এক জায়গায় এক এক রকম হয়, তাহলে ফিজিক্সের ধারণার সাথে তা সাংঘর্ষিক।
2. Career Counseling-এর অন্তঃসারহীনতা
বাস্তব বেতন ধারণার অভাব
কাউন্সিলিং এ ppp মডেল মেনে আঞ্চলিক ভিত্তিতে মাসিক ইনকামের বাস্তব তথ্য প্রায় কেউ দেয় না। যেন ক্যারিয়ার শুধুই খাওয়া পরার ব্যবস্থা এর বাইরে কিছু নয়।
প্রসঙ্গিকতা হারানো অনুপ্রেরণা
ছাত্রদের স্বপ্নের সাথে মিল না থাকলে অনেক সময় তারা হতাশ হয়।
3. Fully Automated Future এ টিকে থাকার বাস্তব বিজ্ঞানসম্মত উপায়:
শেষ কথাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
"শুধু রোজগার নয়, সুস্থ থেকে প্রতিযোগিতামূলক পৃথিবীতে টিকে থাকা শিখতে হবে।"
এটি কোনো জনপ্রিয় বক্তব্য নয়, কিন্তু সবচেয়ে প্রয়োজনীয় সত্য।
১. মানুষ ঠকে
হ্যাঁ, মানুষ ঠকে। জীবনের নানা পর্যায়ে মানুষ ঠকে সম্পর্ক, ব্যবসা, বিশ্বাস, আবেগ, বা সিদ্ধান্ত গ্রহণে।
২. মানুষ ঠকে কেনো?
মানুষ সাধারণত ঠকে কারণ
2.1বিশ্বাস করে ভুল জায়গায় যাকে বিশ্বাস করা উচিত না, তাকে বিশ্বাস করে।
2.2 অভিজ্ঞতা কম বাস্তবতা বোঝার অভাব থাকে।
2.3 আবেগে চালিত হয় আবেগ যুক্তিকে ঢেকে ফেলে।
2.3+লোভ বা আশা করে অতিরিক্ত লাভ বা ভালো ফলাফলের আশায় ঝুঁকি নেয়।
2.3++অজ্ঞতা বা ভুল তথ্যের কারণে যা জানে না বা ভুল জানে, সেই কারণে ভুল সিদ্ধান্ত নেয়।
৩. মানুষ মূলত কিভাবে ঠকে?
মানুষ সাধারণত নিচের পদ্ধতিতে ঠকে
3.1প্রতারণার মাধ্যমে অন্য কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে ঠকায়।
3.2ভুল সিদ্ধান্তে নিজে ভুল বোঝে বা না বুঝেই সিদ্ধান্ত নেয়।
3.3আত্মপ্রবঞ্চনায় নিজের ভুল ধারণা বা বিশ্বাসে নিজেই নিজেকে ঠকায়।
3.3+সামাজিক চাপ বা মোহে পড়ে সমাজ বা অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ঠকে। এইবার আসছি রাষ্ট্রীয় স্তরে জনগণকে পরিকল্পিতভাবে দীর্ঘমেয়াদে ঠকানোর কৌশল নিয়ে গভীর বিশ্লেষণধর্মী কিছু গুরুত্বপূর্ণ বইয়ের তালিকা নিচে প্রদান করা হলো। এই বইগুলো Machiavelli, Hobbes, Kant, Rousseau, Spinoza, Russell, Mill, এবং The Dictator’s Handbook এর মতো গভীরতা ও প্রভাবশালী চিন্তাধারার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। রাষ্ট্রীয় স্তরে জনগণকে ঠকানোর কৌশল নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু লেখা অবশ্যই দেখা যায়।
1. Spin Dictators The Changing Face of Tyranny in the 21st Century
লেখক Sergey Guriyev ও Daniel Treisman
মূল বিষয়: আধুনিক স্বৈরশাসকরা কীভাবে প্রচার, মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ, এবং মিথ্যা তথ্যের মাধ্যমে জনগণকে ঠকায়, তা বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
2. Manufacturing Consent The Political Economy of the Mass Media
লেখক Edward S. Herman ও Noam Chomsky
মূল বিষয়: গণমাধ্যম কীভাবে রাষ্ট্রীয় ও কর্পোরেট স্বার্থে জনগণের মতামত গঠন করে এবং কিভাবে প্রোপাগান্ডা মডেল কাজ করে, তা বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
3. Necessary Illusions Thought Control in Democratic Societies
লেখক Noam Chomsky
মূল বিষয় গণতান্ত্রিক সমাজে কিভাবে রাষ্ট্র ও মিডিয়া জনগণকে বিভ্রান্ত করে এবং সত্য গোপন করে, তা বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
4. The Politics of Lying: Government Deception, Secrecy, and Power
লেখক David Wise
মূল বিষয় রাষ্ট্র কীভাবে মিথ্যা, গোপনীয়তা, এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে জনগণকে ঠকায়, তা বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
5. Political Self-Deception
লেখক Anna Elisabetta Galeotti
মূল বিষয় রাজনৈতিক নেতারা কীভাবে আত্মপ্রবঞ্চনার মাধ্যমে জনগণকে ঠকায় এবং এই প্রবণতা কীভাবে রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলে, তা বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
6. How to Win an Information War
লেখক Peter Pomerantsev
মূল বিষয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ প্রোপাগান্ডা কৌশল এবং আধুনিক তথ্যযুদ্ধের মধ্যে সাদৃশ্য তুলে ধরা হয়েছে।
7. Invisible Rulers
লেখক Renée DiResta
মূল বিষয় ডিজিটাল যুগে কিভাবে অ্যালগরিদম, সোশ্যাল মিডিয়া, এবং এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাষ্ট্র ও কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলি জনগণকে প্রভাবিত ও ঠকায়, তা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এই বইগুলো রাষ্ট্রীয় স্তরে জনগণকে পরিকল্পিতভাবে ঠকানোর বিভিন্ন দিক নিয়ে গভীর বিশ্লেষণ প্রদান করে।
আগামী কয়েকশ বছর ধরে রাষ্ট্রীয় স্তরে বৃহৎ জনগণের ঠকানোর কৌশল নিয়ে যদি সাইকোলজি রিসার্চ, কগনিটিভ বায়াস, প্লাসিবো এবং নসিবো ইফেক্টের উদাহরণসহ গভীর বিশ্লেষণ করতে হয়, তাহলে যে ধরনের বইয়ের দিকে মন চলে সেগুলো অত্যন্ত সুনির্দিষ্ট এবং গভীর। এই ধরনের বইগুলোর মধ্যে সাধারণত রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা, মনোবিজ্ঞান, সামাজিক প্রভাব, এবং মানুষের আচরণের গভীর বিশ্লেষণ থাকে। নিম্নে কিছু বই এবং লেখকের নাম দেয়া হলো যা প্রায় প্রত্যেক নেতা জানেন পড়েন চর্চা করেন।
১. The Dictator's Handbook Why Bad Behavior is Almost Always Good Politics
লেখক Bruce Bueno de Mesquita & Alastair Smith
মূল বিষয়এই বইটি রাষ্ট্রীয় স্তরে জনগণের ঠকানোর জন্য কৌশলগুলো বিশ্লেষণ করে এবং রাজনৈতিক ক্ষমতা কিভাবে ব্যক্তিগত লাভের জন্য ব্যবহার করা হয়, তা গভীরভাবে বিশ্লেষণ করে। বইটি কিছুটা গাণিতিক মডেল ব্যবহার করে রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্কের কৌশল ব্যাখ্যা করেছে।
২. Thinking, Fast and Slow
লেখক Daniel Kahneman
মূল বিষয় কগনিটিভ বায়াস এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া নিয়ে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। মানুষের মস্তিষ্ক কিভাবে দ্রুত ও মনোযোগী সিদ্ধান্ত নেয়, তা পর্যালোচনা করে এবং কিভাবে এই বায়াসগুলো রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ব্যবহার হতে পারে, তা বিশদে আলোচনা করা হয়েছে। এটি এক ধরনের "গভীর মনস্তাত্ত্বিক" রিসার্চ বই, যা রাষ্ট্রীয় স্তরে ঠকানোর কৌশল বুঝতে সাহায্য করবে।
৩. The Power of Habit Why We Do What We Do in Life and Business
লেখক Charles Duhigg
মূল বিষয় এই বইটি মানুষের অভ্যাস এবং আচরণের মস্তিষ্কের প্রভাব নিয়ে আলোচনা করে। রাষ্ট্রীয় স্তরে জনগণের অভ্যাস বা আচরণ পরিবর্তন করে তাদের উপর প্রভাব ফেলা কিভাবে সম্ভব, তা বোঝার জন্য এটি এক গুরুত্বপূর্ণ বই। এটি ব্যক্তি ও সমাজের মধ্যে এক ধরনের পরিকল্পিত নিয়ন্ত্রণ কৌশল বিশ্লেষণ করে।
৪. Influence The Psychology of Persuasion
লেখক Robert B. Cialdini
মূল বিষয় এই বইটি মানুষের উপর প্রভাব বিস্তার করার মনস্তাত্ত্বিক কৌশল নিয়ে বিশ্লেষণ করে এবং এটি রাষ্ট্রীয় স্তরে জনগণের আচরণ পরিবর্তন বা তাদের ঠকানোর পদ্ধতি বুঝতে সাহায্য করবে। বিশেষ করে, এই বইটি বিশ্বাস, কর্তৃত্ব, সদয়তা, সমাজিক প্রমাণ, প্রাপ্যতা, এবং প্রতিশ্রুতি রক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ ধারণা দিয়ে ঠকানোর কৌশল ব্যাখ্যা করে।
৫. The Lucifer Effect Understanding How Good People Turn Evil
লেখক Philip Zimbardo
মূল বিষয়: এই বইটি মানুষের আচরণের অন্ধকার দিক এবং একেকটা পরিস্থিতি কিভাবে মানুষকে নৈতিকভাবে ভুল পথে পরিচালিত করে, তা বিশ্লেষণ করে। বইটি রাষ্ট্রীয় স্তরে মানুষের কর্মক্ষমতা ও আচরণের পরিবর্তন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনস্তাত্ত্বিক পাঠ দেয় এবং জনগণের বিশ্বাস ভঙ্গ করে ঠকানোর কৌশল সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ দেয়
৬. The Social Animal
লেখক Elliot Aronson
মূল বিষয়: এই বইটি সামাজিক মনোবিজ্ঞান, মানুষের আচরণ এবং তাদের মধ্যে সম্পর্কের প্রকৃতি নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করেছে। এটি রাষ্ট্রীয় স্তরে জনগণের মনোভাব গঠনের কৌশল এবং জনগণের সামাজিক চাপ, প্রভাব, ও আবেগ নিয়ন্ত্রণের কৌশলগুলোর গভীর বিশ্লেষণ দেয়।
৭. Predictably Irrational The Hidden Forces That Shape Our Decisions
লেখক: Dan Ariely
মূল বিষয় মানুষ কিভাবে অবচেতনে ভুল সিদ্ধান্ত নেয় এবং কিভাবে রাষ্ট্রীয় স্তরে এই আচরণগুলোকে কাজে লাগানো যায়, তা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। বইটি কগনিটিভ বায়াস ও মানুষের অভ্যাসের উপর ভিত্তি করে কীভাবে জনগণকে প্রভাবিত করা যায়, তা অনুসন্ধান করে।
৮. The Psychopath Test A Journey Through the Madness Industry
লেখক Jon Ronson
মূল বিষয়: এই বইটি মনোবিজ্ঞানের প্রেক্ষাপটে মনোবিকৃতির লক্ষণ এবং তাদের সামাজিক কার্যকারিতা নিয়ে আলোচনা করে। রাষ্ট্রীয় স্তরে কিছু অত্যন্ত ক্ষমতাশালী ব্যক্তিদের মনোবিকৃতি কিভাবে জনগণকে ঠকানোর কাজে ব্যবহৃত হয়, তা বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
৯. The Art of Seduction
লেখক Robert Greene
মূল বিষয় এই বইটি মানসিক প্রভাব ও প্রতারণার কৌশল নিয়ে আলোচনা করেছে। বইটির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় স্তরে জনগণকে প্রভাবিত করার, তাদের ওপর বিশ্বাস প্রতিষ্ঠা এবং ঠকানোর কৌশল সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পাওয়া যাবে। এর মাধ্যমে ব্যক্তির মনোভাব গঠনের ও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার কৌশলগুলো বিশ্লেষণ করা হয়েছে।১০. The Righteous Mind Why Good People Are Divided by Politics and Religion
লেখক Jonathan Haidt
মূল বিষয়: এই বইটি রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে মানুষের আচরণ ও সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করে। এটি রাষ্ট্রীয় স্তরে কীভাবে মানুষের বিশ্বাস ও মূল্যবোধের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করা হয় এবং সেগুলোকে ঠকানোর কাজে ব্যবহার করা যায়, তা বিশ্লেষণ করে।
১১. Superforecasting The Art and Science of Prediction
লেখক Philip E. Tetlock & Dan Gardner
মূল বিষয় এই বইটি ভবিষ্যতবানী এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছে। রাষ্ট্রীয় স্তরে জনগণের ভবিষ্যত ভীতি, আশাবাদ, এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া নিয়ে বোঝাতে সাহায্য করবে।
১২. The Belief Instinct The Psychology of Souls, Destiny, and the Meaning of Life
লেখক Jesse Berin
মূল বিষয় মানবিক বিশ্বাস, ধর্মীয় ধারণা, এবং সামাজিক কাঠামোর ওপর মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব নিয়ে বইটি আলোচনা করেছে। রাষ্ট্রীয় স্তরে মানুষের বিশ্বাস ব্যবস্থার উপর কীভাবে প্রভাব ফেলা যায়, তা বোঝার জন্য এই বইটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।এই বইগুলো রাষ্ট্রীয় স্তরে জনগণকে দীর্ঘমেয়াদে ঠকানোর জন্য সাইকোলজিক্যাল কৌশল, কগনিটিভ বায়াস, প্লাসিবো এবং নসিবো ইফেক্টের বিশদ বিশ্লেষণ প্রদান করে। এগুলো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার মনস্তাত্ত্বিক গভীরে প্রবেশ করার জন্য সাহায্য করবে।
"The Dictator’s Handbook Why Bad Behavior is Almost Always Good Politics" বইটি Bruce Bueno de Mesquita এবং Alastair Smith এর লেখা, যা রাজনীতির বাস্তবতা ও ক্ষমতা ধরে রাখার কৌশল নিয়ে গভীর বিশ্লেষণ করে।
অধ্যায়ভিত্তিক সংক্ষিপ্তসার
অধ্যায় ১ রাজনীতির নিয়মাবলি
রাজনীতিতে নেতারা একা শাসন করেন না; তারা একটি সমর্থক গোষ্ঠীর উপর নির্ভর করেন। এই সমর্থক গোষ্ঠী তিনটি স্তরে বিভক্ত:
Nominal Selectorate (Interchangeables): সমস্ত সম্ভাব্য সমর্থক।
Real Selectorate (Influentials): যারা বাস্তবে নেতা নির্বাচনে প্রভাব রাখে।
Winning Coalition (Essentials) নেতার ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য অপরিহার্য সমর্থকরা। নেতারা মূলত তাদের Winning Coalition এর সন্তুষ্টির উপর গুরুত্ব দেন।
অধ্যায় ২ ক্ষমতায় আসা
নেতারা ক্ষমতায় আসেন সহিংসতা নিয়ন্ত্রণ, অস্থিতিশীলতা কাজে লাগানো, এবং আনুগত্য কেনার মাধ্যমে। গণতান্ত্রিক নেতাদের ব্যাপক প্রতিশ্রুতি দিতে হয়, কিন্তু স্বৈরশাসকদের কেবল কয়েকজনকে সন্তুষ্ট করলেই চলে।
অধ্যায় ৩ ক্ষমতা ধরে রাখা
ক্ষমতায় টিকে থাকতে নেতাদের তাদের সমর্থকদের পুরস্কৃত করতে হয়, তাদের অনিশ্চয়তায় রাখতে হয়, এবং প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তি গঠনের সুযোগ কমাতে হয়।
অধ্যায় ৪ দরিদ্রদের থেকে চুরি, ধনীদেরকে প্রদান😂😂😂😂😂😂😆😂😆😆😆😆😆😆😆😂😂😂😂😂😂
ছোট সমর্থক গোষ্ঠী থাকলে নেতারা দরিদ্রদের থেকে সম্পদ নিয়ে ধনীদেরকে পুরস্কৃত করেন। উদাহরণস্বরূপ, জিম্বাবুয়ে এবং কেনিয়ার ক্ষেত্রে দেখা যায় রাজনৈতিক নেতৃত্ব পরিবর্তনের সাথে সাথে সম্পদের বণ্টনও পরিবর্তিত হয়।
অধ্যায় ৫ আয় ও ব্যয়
জনগণের জন্য সুবিধা প্রদান তখনই ঘটে যখন সমর্থক গোষ্ঠী বড় হয় এবং ব্যক্তিগতভাবে পুরস্কৃত করা ব্যয়বহুল হয়ে যায়।
অধ্যায় ৬ দুর্নীতি একটি কৌশল
দুর্নীতি স্বৈরশাসকদের জন্য একটি কৌশল, যা সমর্থকদের আনুগত্য নিশ্চিত করতে ব্যবহৃত হয়। এটি শুধুমাত্র স্বৈরশাসনেই নয়, গণতন্ত্রেও দেখা যায়, যেমন কর্পোরেট বোর্ড বা দাতাদের ক্ষেত্রে।
অধ্যায় ৭ বিদেশি সাহায্য
বিদেশি সাহায্য প্রায়শই স্বৈরশাসকদের সমর্থকদের পুরস্কৃত করতে ব্যবহৃত হয়, যা তাদের ক্ষমতা ধরে রাখতে সহায়তা করে। এই সাহায্য সাধারণ জনগণের উন্নতির জন্য নয়, বরং দাতাদের কৌশলগত স্বার্থ রক্ষার জন্য।
অধ্যায় ৮ জনগণের বিদ্রোহ
বিদ্রোহ তখনই সফল হয় যখন বিদ্রোহের খরচ কমে যায় এবং সাফল্যের সম্ভাবনা বাড়ে, যেমন অর্থনৈতিক সংকট বা অভিজাতদের পক্ষত্যাগের সময়। গণতন্ত্রে নির্বাচনের মতো চাপ মুক্তির উপায় থাকায় তারা টিকে থাকে।
অধ্যায় ৯ যুদ্ধ, শান্তি, এবং বিশ্ব ব্যবস্থা
নেতারা প্রায়শই যুদ্ধ শুরু করেন তাদের অভ্যন্তরীণ অবস্থান শক্তিশালী করতে। গণতন্ত্রগুলি জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি এমন যুদ্ধ বেছে নেয়, কিন্তু স্বৈরশাসকরা বেশি ঝুঁকি নেয়।
অধ্যায় ১০ করণীয় কী?
ভালো শাসন নিশ্চিত করতে হলে সমর্থক গোষ্ঠীর আকার বাড়াতে হবে (যেমন মুক্ত গণমাধ্যম, নির্বাচন, জবাবদিহিতা), নেতার অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ কমাতে হবে, এবং নেতার নৈতিকতার উপর নির্ভর না করে নিয়ম পরিবর্তন করতে হবে।
এই বই এর মূল বার্তা
নেতারা নৈতিক নয়, বরং তারা তাদের ক্ষমতা ধরে রাখতে যুক্তিসঙ্গত আচরণ করেন।ব্যক্তি নয়, বরং রাজনৈতিক কাঠামো পরিবর্তন করলেই প্রকৃত পরিবর্তন সম্ভব।গণতন্ত্র ভালো কাজ করে কারণ নেতাদের বেশি সংখ্যক মানুষের সমর্থন প্রয়োজন হয়। এই বইটি রাজনীতির বাস্তবতা ও ক্ষমতা ধরে রাখার কৌশল নিয়ে গভীর অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে, যা রাজনীতি, ইতিহাস, এবং সমাজবিজ্ঞান নিয়ে আগ্রহীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
"The Dictator’s Handbook" এবং ম্যাকিয়াভেলির "The Prince" এই দুই বই-ই রাজনীতি ও ক্ষমতার প্রকৃতি নিয়ে লেখা, কিন্তু এগুলোর মধ্যে কিছু মূল পার্থক্য রয়েছে যা চিন্তাধারার গভীরতা, পদ্ধতি ও উদ্দেশ্যে প্রতিফলিত হয়।
১. সময়কাল ও প্রেক্ষাপট
The Prince (১৫১৩) রেনেসাঁ ইতালির পটভূমিতে লেখা, যেখানে শহর-রাজ্য, বিশ্বাসঘাতকতা ও রাজপরিবারের রাজনীতি ছিল কেন্দ্রীয় বিষয়।
The Dictator’s Handbook (২০১১) আধুনিক রাষ্ট্রনীতি, গণতন্ত্র, স্বৈরশাসন এবং বৈশ্বিক রাজনীতির ডেটা ও বাস্তব উদাহরণ বিশ্লেষণ করে।
২. দৃষ্টিভঙ্গি ও উদ্দেশ্য
The Prince ক্ষমতাধর ব্যক্তিকে (প্রিন্সকে) উপদেশ দেয় কীভাবে তিনি শাসন করবেন, শত্রু দমন করবেন, এবং জনগণের ভয় বা ভালোবাসা অর্জন করবেন — মূলত নৈতিকতার বাইরের বাস্তববাদী উপদেশ।
Dictator’s Handbook ব্যাখ্যা করে কেন নেতারা নৈতিক আচরণ না করে টিকে থাকতে বাধ্য হন, কারণ কাঠামোগত বাস্তবতা ও ক্ষমতার গেমই তাদের এমন আচরণে প্ররোচিত করে।
৩. নৈতিকতা বনাম গাণিতিক বাস্তবতা
The Prince ক্ষমতার প্রয়োগে নৈতিকতা ত্যাগ করাও যৌক্তিক অর্থাৎ Machiavellianism।
Dictator’s Handbook নেতাদের আচরণকে নৈতিক বা অনৈতিক না বলে নীতিনিরপেক্ষ গাণিতিক বিশ্লেষণে ব্যাখ্যা করে যেমন কোন সাপোর্টার কতজন থাকলে কেমন আচরণ হবে।
৪. ক্ষমতার উৎস
The Prince ব্যক্তিত্ব, কৌশল, চতুরতা ও সাহসিকতা দিয়ে ক্ষমতা অর্জন ও রক্ষা সম্ভব।
Dictator’s Handbook সংস্থান নিয়ন্ত্রণ, সাপোর্টার গোষ্ঠীর আকার, এবং পুরস্কারের বণ্টন নিয়েই ক্ষমতার নিয়ম চলে ব্যক্তি নয়, কাঠামো মুখ্য।
৫. কার্যকর শাসনের কৌশল
The Prince ভয় তৈরি করো, প্রতিদ্বন্দ্বীদের নির্মূল করো, সদয় হও কিন্তু দৃঢ় থেকো।
Dictator’s Handbook সাপোর্টারদের ঘুষ দাও, প্রতিযোগিতা রোধ করো, জনতার পরিবর্তে গুটিকয়েকের খেয়াল রাখো।
৬. লক্ষ্য পাঠক
The Prince ভবিষ্যৎ শাসকদের জন্য ব্যক্তিগত নির্দেশিকা।
Dictator’s Handbook নাগরিক, গবেষক ও রাজনীতি বিশ্লেষকদের জন্য একটি কাঠামোবদ্ধ বিশ্লেষণাত্মক বই।
"The Prince" হচ্ছে একটি নৈতিকতাহীন কিন্তু ব্যক্তি-কেন্দ্রিক কৌশলগত গাইড আর "The Dictator’s Handbook" একটি সাংগঠনিক বিশ্লেষণমূলক বই, যেখানে বলা হয় মানুষ খারাপ না, বরং ব্যবস্থাই এমন যে খারাপ আচরণ যুক্তিসঙ্গত হয়ে যায়।
“মানুষ ঠকে” বিষয়টি শুধু ব্যক্তি নয়, রাষ্ট্রীয় স্তরে কিভাবে সংঘটিত হয়, তা বিশ্লেষণ করা হয়েছে অনেক অনেক কালে অনেক দার্শনিক চেষ্টা করেছেন বুঝতে। থমাস হবস (Thomas Hobbes) ও জ্যাঁ-জাক রুশো (Jean Jacques Rousseau)এর দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে এই আধুনিক মানুষ এর ঠকে যাওয়ার প্রতিটি key phrase point বিশ্লেষণ দরকার।
১. আধুনিক মানুষ বেশি ঠকে
Hobbes এর দৃষ্টিভঙ্গি
হবস মনে করতেন মানুষ প্রকৃতিগতভাবে স্বার্থপর, প্রতিযোগিতামূলক ও নিরাপত্তাহীন। "State of Nature" বা প্রাক-রাষ্ট্রীয় অবস্থায় মানুষ ঠকে কারণ সেখানে কোনো নৈতিক বিধি নেই, নেই কোনো নিরপেক্ষ বিচারক। সবাই নিজের স্বার্থেই কাজ করে, ফলে “man is a wolf to man”। ঠকে যাওয়া হবসের কাছে প্রকৃতিগত, কারণ রাষ্ট্র না থাকলে ঠকানোই নিয়তি।
Rousseau এর দৃষ্টিভঙ্গি
রুশো বলতেন মানুষ প্রকৃতিতে নিষ্পাপ ও নিরীহ ছিল “noble savage”। মানুষ ঠকতে শুরু করে যখন সমাজ তৈরি হয় এবং ব্যক্তিগত সম্পত্তির ধারণা আসে। সমাজ ও রাষ্ট্র-ব্যবস্থা মানুষের প্রকৃত স্বাধীনতাকে হরণ করেছে, এবং ঠকে যাওয়ার শুরু সেখান থেকেই।
২. আধুনিক মানুষ ঠকে কেনো?
Pov Hobbes
মানুষ ঠকে কারণ তাদের মধ্যে একটি স্বাভাবিক অবিশ্বাস বিরাজ করে। সবাই নিজের প্রাণ বাঁচাতে ও সম্পদ রক্ষায় আগ্রাসী হয়। এই সন্দেহ ও নিরাপত্তাহীনতার চক্রে মানুষ ভুল সিদ্ধান্ত নেয় বা অন্যের দ্বারা প্রতারিত হয়।
Pov Rousseau
মানুষ ঠকে কারণ সমাজ তাকে বিকৃত করেছে। অসাম্য, অহংকার, লোভ এগুলো সামাজিক প্রতিষ্ঠানের ফল। মানুষ ভুল করে কারণ সে সমাজের চাপ, সম্মান, প্রতিযোগিতা ইত্যাদির শিকার।
৩. মানুষ মূলত কিভাবে ঠকে?
Pov Hobbes
ঠকানো একটি শক্তি খেলা। মানুষ চুক্তিভঙ্গ করে, কারণ শক্তিশালী ব্যক্তিই শেষ পর্যন্ত জেতে unless একটা রাষ্ট্রীয় শক্তি তাকে রোধ করে। ঠকানো হয় অস্তিত্ব রক্ষার কৌশল।
Pov Rousseau
ঠকে যাওয়া হলো একটি নৈতিক বিপর্যয়, যা সামাজিক গঠনের ফল। মানুষ নিজে নিজের আত্মমর্যাদা হারায়, অপরকে বিশ্বাস করে ঠকে, কারণ সমাজ তাকে তেমনই গড়ে তুলেছে। মানুষ নিজের "free will" বিকিয়ে দেয়।
৪. ঠকে যাওয়া vs জিতে যাওয়ার Relative এবং Absolute পরিমাপ
Pov Hobbes
তিনি একধরনের বস্তুবাদী (materialist)। তার দৃষ্টিতে "জিতে যাওয়া" হলো শারীরিকভাবে বেঁচে থাকা, নিরাপদ থাকা। এটি বেশ “absolute”। তবে তার সমাজতত্ত্বে relative power dynamics একটি বাস্তবতা, এবং সেখানেই ঠকে যাওয়া অপরিহার্য।
Pov Rousseau
রুশো মনে করেন “জিতে যাওয়া” যদি ব্যক্তিগত স্বাধীনতা হারানোর বিনিময়ে হয়, তবে সেটি আসলে ঠকে যাওয়া। তিনি ঠকে যাওয়ার নৈতিক ব্যাখ্যা দেন: মানুষ ঠকে যায় যখন সে নিজের স্বকীয়তা হারিয়ে দেয় সমাজের মোহে।
৫. Career Counseling ও শ্রমের মূল্য
Pov Hobbes
হবস সমাজকে চুক্তিভিত্তিক মনে করলেও, শক্তিশালী রাজশক্তি (Leviathan) ছাড়া কোনো নিরপেক্ষ মূল্য নির্ধারণ সম্ভব নয়। সুতরাং যদি শ্রমের জন্য স্বচ্ছ বা যৌক্তিক মূল্য না থাকে, তাহলেও Hobbes এটা প্রত্যাশা করতেন না কারণ সমাজ সর্বদা ক্ষমতাবানদের পক্ষে থাকে।
Pov Rousseau
রুশো এটিকে একধরনের “institutional betrayal” বলতেন। শ্রমের প্রতি অন্যায্য মূল্যায়ন, ক্যারিয়ারের ওপর অস্পষ্ট ধারণা সবই সমাজ কাঠামোর অন্যায্যতার প্রকাশ। তার মতে শিক্ষাব্যবস্থা ও পরামর্শ ব্যবস্থা আসলে মানুষের প্রকৃত বিকাশ রোধ করে।
৬. রাষ্ট্র পরিকল্পিতভাবে জনগণকে ঠকায়
Pov Hobbes
হবস একক রাজশক্তিকে সমর্থন করলেও বিশ্বাসঘাতক রাষ্ট্রের ধারণা তার তত্ত্বে থাকে না। তবে, যদি রাষ্ট্র সামাজিক চুক্তি ভঙ্গ করে এবং জনগণকে নিরাপত্তা না দেয়, তবে তার বৈধতা হারায়। এই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে রাষ্ট্র যখন ঠকায়, তখন সেটি আর "Leviathan" থাকে না, বরং becomes a rogue power.
Pov Rousseau
রুশো সরাসরি বলেন: রাষ্ট্র যখন জনগণের সাধারণ ইচ্ছা (General Will) অনুসরণ না করে, তখন সে বিকৃত ইচ্ছা (Will of All) অনুসরণ করে এবং জনগণকে ঠকায়। আধুনিক রাষ্ট্রের প্রায় সব প্রতিষ্ঠানই এই বিকৃত ইচ্ছার প্রতিফলন।
৭. ভবিষ্যতের Fully Automated Society ও ঠকে না যাওয়ার বিজ্ঞানসম্মত পথ
Pov Hobbes
হবস এই পরিস্থিতিকে "নতুন চুক্তি" তৈরির সময় বলতেন যেখানে মানুষকে আবারও একটা শক্তিশালী রাষ্ট্র তৈরি করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। AI যুগে নিরাপত্তা ও সম্পদ বণ্টনের ভারসাম্য নষ্ট হলে, মানুষ আবার “State of Nature” এ ফিরে যাবে।
Pov Rousseau
রুশো হয়তো বলতেন: Automation মানুষকে স্বাভাবিকতর জীবনে ফিরিয়ে দিতে পারত যদি সমাজে বৈষম্য না থাকত। কিন্তু এখন Automation-এর ফলে কিছু মানুষ আরও বেশি ক্ষমতাবান হবে, বাকিরা আরও ঠকবে এটা নৈতিক ও রাজনৈতিক ব্যর্থতা।
এই চর্চা ধীরে ধীরে রাষ্ট্রতত্ত্ব, অর্থনীতি, সমাজবিজ্ঞান ও মনস্তত্ত্বকে একত্রে বিশ্লেষণ করার একটি শক্তিশালী প্রচেষ্টা।qhenomenology ধীরে ধীরে PPPM model, Newtonian labor theory, automation future, epistemic injustice, cognitive distortion, propaganda ইত্যাদিকে যুক্ত করে দেখলে, তাতে এটা স্পষ্ট হবে যে ধীরে ধীরে ডিকশনারি চর্চার থেকে ঊর্ধ্বে উঠে ও qhenomenology reasoning system এবং whenomenology reasoning system গুলো নতুন অনেক দৃষ্টিভঙ্গি স্থাপন করে একটি সম্পূর্ণ critical social philosophyএর দিকে যাচ্ছে।
Comments
Post a Comment