আমার মদ খাওয়ার এবং shisakanko practice

1Attentive awareness 
2Super attentive awareness 
3Zero involuntary actions state 
3+super involuntery actions state 
3++ zero volantary actions state 
6 সুপার volantery actions state 

মদ না খেয়ে কজন এটা করতে পারে জানিনা।SHISAKANKO হলো চিন্তার শরীর তৈরি করা,
যেখানে চিন্তা করা মানেই কিছু বানানো,আর বানানো মানেই সেটা নিয়ে আবার জ্ঞানিত অবস্থায় চিন্তার গঠিত শিরুর টা কে বিভিন্ন ওলি গোলি ধরে মেপে মেপে দেখা আবার সম্পূর্ণ ডিটেইল এ পুরোটা চিন্তা করা।

সঞ্জয় নাথ এর মদ খাওয়ার SHISAKANKO তে বলে।
যখন তুমি একটা সমস্যা বা চিন্তাকে form দাও বিশেষ করে সৃষ্টিশীলভাবে, তখন তুমি নিজের অচেতন ভাবনাকে প্রকাশ করছো।তুমি যখন mood, ritual, intoxication, and movement দিয়ে এটা করো, তখন একে active imagination বলা যায়।রাতভর রাস্তা হাঁটা মানে নিজের Shadow বা unconscious aspect কে তুলে আনা
ডায়েরি লেখার মাধ্যমে নিজের ভাবনাকে বাস্তব রূপ দেওয়া
একটানা চিন্তাভাবনা দিয়ে একটা আকার বানানো যা বলছে, “এই আমিই!”এই মদ খাওয়া, রাতভোর হাঁটা, রান্না, বাজার, তালা খোলা, ডায়েরি লেখা এসবই এক ধরণের স্বজ্ঞাবোধ + শরীরিক অভিজ্ঞতা + ধীরচিন্তা-এর একত্র সাধনা।SHISAKANKO হলো সেই সাধনার পদ্ধতি যেখানে সৃষ্টির মাধ্যমে চিন্তা, আর চিন্তার মাধ্যমে আত্মোপলব্ধি ঘটে। ত্রিকোণমিতির সমীকরণ গুলোর euclidean চিত্র রূপ স্বপ্নে দেখা গুলো থেকে simulation এর programming করা এগুলোতে অনেক detailed thinking লেগেছে। সমস্ত সম্ভাব্য symmetry গুলোকে ভাবতে হয়েছে। সম্পূর্ণ নতুন কোন ধারণা কে programming স্তর অবধি সৃষ্টি করতে এই detailed attentive state এ পৌঁছতেই হয়।

এই স্তর গুলো নিয়ে অনেকেই চর্চা করেন না। হয়তো লজ্জা পান। হয়তো সমাজ এর তৈরি করে দেওয়া নিয়ম এর বাইরে গিয়ে কথা বলার সাহসে অনেকের থাকে না। অনেকেই বউ কে খুব ভয় পায়। ফলে ছিন্ন করি কাছি আমি ডুবতে রাজি আছি ভেবে রিসার্চ ও আর করা হয় না অনেকের।আমাদের ইন্দ্রিয়গুলোর নিজস্ব হিসেব থাকে, কিন্তু তারা সব তথ্য মাথার কাছে সমর্পণ করে না।এটা খুব গুরত্বপূর্ণ উপলব্ধি। আমাদের চোখ যা দেখে, তার ৯০% মস্তিষ্কে পাঠানো হয় না।আমাদের দেহ অনেক সত্য লুকিয়ে রাখে।এই ধারণা Carl Jung এর subconscious sensing থিওরিরও কেন্দ্রবিন্দু।এই সব পর্যায়গুলো চর্চা করতে সাহস লাগে, নির্জনতা লাগে, ও একটা সম্পূর্ণ আলাদা রকমের মন গঠন লাগে।

রবি ঠাকুর এর লেখা থেকে নিচ্ছি 
তোমার     খোলা হাওয়া লাগিয়ে পালে   টুকরো করে কাছি
আমি    ডুবতে রাজি আছি আমি ডুবতে রাজি আছি ॥
সকাল আমার গেল মিছে,          
       বিকেল যে যায় তারি পিছে গো
 রেখো না আর, বেঁধো না আর কূলের কাছাকাছি ॥
  মাঝির লাগি আছি জাগি সকল রাত্রিবেলা, 
ঢেউগুলো যে আমায় নিয়ে করে কেবল খেলা।

ঝড়কে আমি করব মিতে,     ডরব না তার ভ্রূকুটিতে
 দাও ছেড়ে দাও, ওগো, আমি তুফান পেলে বাঁচি ॥

এইবার পড়ুন নিজেকে সমাজ মুক্ত ইন্দ্রিয় মুক্ত উপলব্ধির একটা স্তরে পৌঁছে osho যেমন করে ব্যাখ্যা দেন তেমনি করে বুঝতে পারা খুব প্রয়োজন। রবি ঠাকুর এর কার্ল ইয়াং এর এই লেখা গুলোতে এক অসাধারণ আন্তর্জাগতিক প্রবাহ আছে, যেখানে গভীর আত্ম অন্বেষণ, সমাজবদ্ধতার গন্ডি ভেঙে যাওয়ার সাহস, এবং চেতনার স্তরভিত্তিক বিকাশ উঠে এসেছে।সাইকোলজির দিক থেকে প্রতিটি স্তরকে বিশ্লেষণ করে বুঝিয়ে লিখতে চেষ্টা করছি, যেন কেউ ওশো বা গুরজিয়েভের মতো গভীরতায় ঢুকতে চায়, সে যেন নিজেকে মেলতে পারে।

বিস্তারিত ভাবে বলছি এগুলো 

1. Attentive Awareness

(মনোযোগী সচেতনতা)
সাইকোলজিতে একে বলে Focused Attention বা Selective Attention। এই স্তরে মানুষ বাইরের স্টিমুলাসকে বেছে নিয়ে মনোযোগ দেয়—একটা শব্দ, একটা অনুভব, একটা দৃশ্য। এই সচেতনতা হচ্ছে আমাদের দিনের প্রায় ৯০% কাজ করার ভিত্তি। কিন্তু এই স্তর এখন এত overloaded হয়ে গেছে notifications, stress, কাজের চাপের কারণে যে মানুষ “আত্মদর্শী মনোযোগ” (introspective attention) দিতে ভুলে যাচ্ছে।
2. Super Attentive Awareness
(অত্যুচ্চ মনোযোগ)
এটা হচ্ছে mindfulness-এর পরবর্তী ধাপ। Deep meditation বা psychedelics-induced states এ মানুষ এই স্তরে পৌঁছায়।সাইকোলজিকালি একে Hyper-aware state বলা হয়, যেখানে মস্তিষ্কের Default Mode Network (DMN) বন্ধ হয়ে যায়, এবং মুহূর্তের প্রতিটি খুঁটিনাটি মানুষের কাছে ঝকঝকে হয়ে ধরা দেয়।এ সময় অনেকেই বলেন "সময় থেমে গেছে", "নিজের শ্বাস টের পাচ্ছি", বা "নিজেকে বাইরের দিক থেকে দেখছি।"
এটা ওশো, একহার্ট টোলে, বা গুরজিয়েভের “waking sleep” থিওরির খুব কাছাকাছি।
SHISAKANKO জাপানি পদ্ধতি 
প্রচুর প্রচুর প্রচুর মদ খেয়ে বাড়ি ফিরতে পারতাম। নয়ডা থেকে দিল্লি কলকাজি হেঁটেও চলে এসেছি 2014 এ  টলতে টলতে।dnd কীকরে হেঁটে পেরিয়েছি সেটাও মনে আছে। কোন পুলিশ কে কিভাবে পটিয়েছি সেটাও মনে আছে । তারপর বাড়িতে এসে তালা খুলতে গিয়ে সমস্যা হয়েছে। কেনো হলো সেই সমস্যা??????? কারণ এই অভিজ্ঞতার আগে আমি shisakanko পদ্ধতি তে কিছুই করতাম না।2014 এর পর থেকে এই পদ্ধতি তে আমি অনেক কিছুই করি। অনেক অনেক অনেক মদ খেতে খেতে এই অভিজ্ঞতা আর জ্ঞান আমার হয়েছিল তখন।

      
SHISAKANKO (試作勘考) একটি গভীর জাপানি পদ্ধতি, যার মূলত মানে হলো
"Trial Thinking" বা "Prototype Thinking"  যেখানে আপনি চিন্তা করার জন্য কিছু(detailed structure)তৈরি করেন, এবং এই গঠিত চিন্তা শরীর তৈরি করার মধ্য দিয়ে সেই চিন্তা শরীর টা কে নিয়েই গভীরে ডিটেইলড চিন্তা করেন।এই ধারণাটি জাপানি শিল্প সংস্কৃতির ভিতরে খুবই গাঢ়ভাবে প্রোথিত বিশেষ করে কাইজেন (Kaizen), LEAN, এবং TOYOTA Production System এ এই পদ্ধতির প্রয়োগ অসাধারণভাবে গুরুত্বপূর্ণ।SHISAKANKO বিশ্লেষণ (সাইকোলজিকাল + কাজের দৃষ্টিকোণ থেকে)
1. ভাবনার জগৎকে বাস্তবে নিয়ে আসা (Embodied Cognition)
Shisakanko-র মূল বিশ্বাস হচ্ছে
 “চিন্তাভাবনা যতই নিখুঁত হোক না কেন, সেটি বাস্তব রূপে আসা না পর্যন্ত তা অসম্পূর্ণ।”
Cognitive Psychology অনুযায়ী এটাকে বলা যায় Embodied Cognition। জানিনা অনেক অনেক অনেক মদ না খেয়ে কজন সমস্ত কাজ এর ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করতে শিখেছে।এই মডেলে মস্তিষ্ক আর শরীর একসাথে চিন্তা করে।🙏🙏🙏🙏🙏🙏
Shisakanko তাই বলছে
 Prototype করো। হোক ভুল, কিন্তু দেখা যাক!
চোখে দেখলে, হাতে ধরলে, ফেলে দিলে চিন্তার গভীরতা বেড়ে যায়।
2. ভুলকে ভয় না পাওয়া (Fail Fast, Learn Faster)
Shisakanko পদ্ধতি বলে,প্রথমেই perfect কিছু বানীও না। বরং অল্প কিছু তৈরি করো, test করো, ভুল বের করো। প্রথমেই পারফেকশন এর কোন লোভ রেখো না নিজের মনে। কোনভাবেই কোন কিছু প্রমাণ করার আশায় কিছু তৈরি করার কথা না ভেবে আরম্ভ করে দাও।just start doing। জানিনা কজনে অনেক অনেক অনেক মদ না খেয়ে এই স্তরের maturity টা achieve করতে পেরেছে??????
এটা western Agile methodology-র সাথে মেলে, তবে এর মনের দিকটা খুব জাপানি।নম্রতা, ধৈর্য, ও আত্মবিশ্বাসে লালিত “ভুল শেখা”।এখানে ব্যর্থতা চাপ নয়, বরং “পোড় খাওয়া জ্ঞান”।
3. অভিজ্ঞতা দিয়ে জ্ঞান সৃষ্টির ধারায় বিশ্বাস (Experiential Learning)
SHISAKANKO জ্ঞান সৃষ্টি করে
তথ্য → অভিজ্ঞতা → উপলব্ধি → প্রতিফলন → উন্নতি
এই চক্রে।এটি David Kolb-এর Experiential Learning Cycle-এর মতোই
যেখানে "DO → REFLECT → LEARN → REDO" হল মূল কৌশল।
4. ধৈর্য, নীরবতা ও গভীর পর্যবেক্ষণ (Japanese Craftsmanship Mindset)
Shisakanko ধারণাটি বুদ্ধিপ্রসূত নয়, বরং সচেতন পর্যবেক্ষণ ও ধৈর্য নিয়ে তৈরি।
কারিগর বা প্রযুক্তি উদ্ভাবকের চোখে এটা এক ধরণের “Mindful Prototyping”।
সাইকোলজিতে একে বলা হয় slow thinking with high resolution feedback যেখানে আপনি ছোট ছোট জিনিস পর্যবেক্ষণ করে চিন্তার মান বাড়ান।
SHISAKANKO কোথায় ব্যবহৃত হয়? আমার ধারণা অনেক অনেক অনেক মদ খাওয়ার পরে এই পদ্ধতি টা perfect পদ্ধতি।TOYOTA Production System prototype line তৈরি করে ছোটখাটো সমস্যা আগে থেকেই চিহ্নিত করা।JAPANESE DESIGN FIRMS: এ দ্রুত মডেল বানিয়ে তা উপভোগ করে দেখার মাধ্যমে চিন্তা করা হয়।
ROBOTICS/TECHNOLOGY LABS রয়েছে যেখানে shisakanko র মাধ্যমে micro-level improvement
আপনি চাইলে অনেক বোতল মদ খেয়ে তারপর চাইলে SHISAKANKO পদ্ধতি দিয়ে…কোনো চিন্তা/তত্ত্ব পরীক্ষামূলকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারেন।নিজের সৃষ্টিশীলতা ও intuition কে আরও বাস্তবভিত্তিক করে তুলতে হলে মধ্য রাত্রে বাড়ির থেকে 34 কিলোমিটার দূরে কোথাও অনেক অনেক অনেক বোতল মদ খাওয়া দরকার এবং সম্পূর্ণ পথ নিজের পায়ে হেঁটে থলি ভর্তি বাজার করে এবং মদ খেতে খেতে টলতে টলতে shisakanko পদ্ধতি প্রয়োগ করে করে ঘরে এসে 22 টা তালা খুলে নিজে রান্না করে খেয়ে স্নান করে ঘুমিয়ে তিন মাস পরে ডাইরি তে সম্পূর্ণ ডিটেইল লেখা দরকার। এবং বাজার এর ডিটেইল ও লিখতে পারতে হবে।
SHISAKANKO হলো চিন্তার শরীর তৈরি করা,
যেখানে চিন্তা করা মানেই কিছু বানানো,
আর বানানো মানেই সেটা নিয়ে আবার জ্ঞানিত অবস্থায় সম্পূর্ণ ডিটেইল এ চিন্তা করা।

3. Zero Involuntary Actions State
(শূন্য অস্বেচ্ছাচারিতার স্তর)
এটা এক অদ্ভুত ট্রান্স স্টেট। যেখানে শরীরের সমস্ত স্বয়ংক্রিয় প্রতিক্রিয়া যেমন blink করা, কাঁপা, গলা খাঁকারি, হঠাৎ শ্বাস নেওয়া সব বন্ধ হয়ে যায়।এই অবস্থায় পৌঁছানো কঠিন, কিন্তু সম্ভব।সাইকোলজিতে এটা autonomic override state হিসাবে পরিচিত। সাধকরা এই পর্যায়ে সাধনা করে "Pratyahara" (ইন্দ্রিয়নিগ্রহ) অর্জন করেন।
3+ Super Involuntary Actions State
(উচ্চ অস্বেচ্ছাচারিতা, কিন্তু সচেতনভাবে)
এখানে paradoxical বিষয় হয়তো অস্বেচ্ছাচারিতা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে কিন্তু সচেতন ভাবে। অর্থাৎ brain কে সমস্ত note করিয়ে করিয়ে চলা হচ্ছে।micro attentive and logging এর state যেমন হাঁটছো কোন পা এর কতো জোর দেওয়া হচ্ছে সেটা brain জানে, নিঃশ্বাস নিচ্ছো কতোটা হাওয়া ছাড়ছি টানছি সেইটা ব্রেইন কে note করিয়ে দেওয়া হচ্ছে, চোখ নাড়ছো ব্রেইন count ও করছে সেগুলো but তুমি জানো, অর্থাৎ ব্রেইন সেইটা 30 বছর পরেও বলতে পারবে কারণ সেটা ব্রেইন নোট করে করে কাজ গুলো করেছে ফলে তুমি জন্য তুমি এটা করছো।এই সময় self and body এর মাঝখানে একটা thin transparent logger পর্দা তৈরি হয়।সাইকোলজিতে একে Metacognitive Motor Awareness বলা যায়। একজন অভিনেতা বা যোজক (yogi) এই awareness নিয়ে পারফর্ম করে।
3++ Zero Voluntary Actions State
(শূন্য স্বেচ্ছাচারিতা)
এটা একপ্রকার সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ।
তুমি নিজেকে universe এর হাতে দিয়ে দাও, তুমি আর কিছু করো না। শরীর যেখানে যাবে, যাবে। মন যা দেখবে, দেখবে।brain কিছুই log করবে না। ব্রেইন কিছুই note করবে না।সাইকোলজিতে এটা এক ধরণের Catatonic Awareness বা Surrendered Presence কিন্তু আত্মহীনতা নয়, বরং সম্পূর্ণ বিশ্রামপ্রাপ্ত সত্তা।
এটা ওশোর Let-go Meditation এর very core।
6. Super Voluntary Actions State
(অত্যুচ্চ স্বেচ্ছাচারিতা)
এটা mastery এর স্তর। তুমি নিজের শরীর, মস্তিষ্ক, অনুভব, আবেগ সব কিছু ইচ্ছেমতো চালাতে পারো।
এই অবস্থায় একজন সাধক নিজেকে নাটকের লেখক, পরিচালক ও অভিনেতা সব একা ভাবতে শেখে।
সাইকোলজিকালি এটি Executive Function Superiority এর লক্ষণ, যেখানে prefrontal cortex একদম optimized হয়ে কাজ করছে।
এইবার আসছি সমাজের বাধা ও নিজস্ব সাহসের প্রসঙ্গে
“অনেকে বউকে ভয় পায়, অনেকেই সমাজের বাইরে কথা বলার সাহস রাখে না”এই কথা সাইকোলজির Social Conformity Bias ও Fear of Ostracism এর classic example।মানুষ জেনে বোঝে কোন পথে গেলে মুক্তি আছে, কিন্তু ভয় পায় "অস্বাভাবিক" হওয়ার।তাই তারা আত্মবিকাশের পথে হাঁটে না। নিজের নেশা, ইচ্ছা, চেতনার গভীরতা—সেগুলো অবদমিত রাখে। ঐযে "ছিন্ন করি কাছি আমি ডুবতে রাজি আছি" এটা এক existential courage।
মদ ও ইন্দ্রিয় সংক্রান্ত উপলব্ধি গুলো বলছি এবার।
আমার নিজের অভিজ্ঞতা  লিখছি নিচের মদ্যপানের অভিজ্ঞতা দিয়ে যেটা বোঝানো হয়েছে
“ইন্দ্রিয়গুলো একসময় মস্তিষ্ককে তাদের দায়িত্ব দিয়ে দেয়”
এই অংশ গভীরভাবে neuroscience of intoxication আর 8 গ্লাস মদ খাওয়ার পরে পকেটে আরো একটা আধা থাকলে মন টা altered state of consciousness কে স্পর্শ করে।আমাদের ইন্দ্রিয়গুলোর নিজস্ব হিসেব থাকে, কিন্তু তারা সব তথ্য মাথার কাছে সমর্পণ করে না।এটা খুব গুরত্বপূর্ণ উপলব্ধি। আমাদের চোখ যা দেখে, তার ৯০% মস্তিষ্কে পাঠানো হয় না।আমাদের দেহ অনেক সত্য লুকিয়ে রাখে।এই ধারণা Carl Jung এর subconscious sensing থিওরিরও কেন্দ্রবিন্দু।এই সব পর্যায়গুলো চর্চা করতে সাহস লাগে, নির্জনতা লাগে, ও একটা সম্পূর্ণ আলাদা রকমের মন-গঠন লাগে।

এইবার আসছি একটা সত্য অভিজ্ঞতা তে।

2017 তে প্রথম সফল ভাবে geometrifying trigonometry simulator টা ejs এ দার করাতে পেরেছিলাম তখন সেই নেশায় বুধ হয়ে গিয়ে মদ খাওয়ার ইচ্ছেই চলে গেলো। এখন তো বছরে একদিন ও হয়তো খাওয়া হয় না আর। কিন্তু মদ এর কাছে আমি খুবই কৃতজ্ঞ। সত্যিই কৃতজ্ঞ।

2004 থেকে 2017 প্রচুর প্রচুর প্রচুর মদ খেয়েছি 
এবং 8 গ্লাস খাওয়ার পর আমার ইন্দ্রিয় গুলো তাদের সমস্ত দায় দায়িত্ব গুলো ব্রেন কে দিয়ে দিতো।
এই উপলব্ধি টা তৈরি হতে সময় লেগেছে অনেক। চোখ কান নাক হাত পা গা এদের নিজের নিজের বুদ্ধি আছে। সেই individual বুদ্ধি গুলো অনেক কিছুই মাথা কে report করে না। কোন infirmatuon সম্পূর্ণ surrender  করে না এরা মাথার কাছে। ফলে আপনার শরীরের অনেক খবর মাথার attentive awareness এর কাছে পৌঁছায় না।

https://youtu.be/AggT1BJP4B8?si=jr5COeONo9j6H_Xg

1. Embodied Cognition

তত্ত্ব
মস্তিষ্ক একা চিন্তা করে না। চিন্তা শরীর ও পরিবেশের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে গঠিত হয়।
SHISAKANKO-এর প্রয়োগ
তুমি যখন অনেক গ্লাস মদ খেয়ে হাঁটতে হাঁটতে রাস্তা পেরিয়ে, বাজার করে, ২২টা তালা খুলে, স্নান করে ডাইরিতে সব লেখো
তখন প্রতিটা শরীরিক sensory-motor experience তোমার cognition-কে reshape করে।

উদাহরণ
এই স্তরে 
মস্তিষ্ক সিদ্ধান্ত নেয় যখন হাত দিয়ে কিছু ধরে দেখি।
এই স্তরে 
ভাবনা পরিষ্কার হয় যখন হাঁটছি বা রান্না করছি।SHISAKANKO মানে এমন কিছু বানানো যা শরীরিকভাবে চিন্তা ছুঁয়ে দেয়।
2. Metacognition (চিন্তার উপর চিন্তা)
তত্ত্ব
 নিজে কীভাবে চিন্তা করি, সেটার ওপর সচেতন হওয়া
SHISAKANKO-তে
তুমি শুধু কিছু বানাচ্ছো না তুমি তোমার বানানোর অভিজ্ঞতা নিয়ে চিন্তা করছো
যেমন
 “আমি কেন এটা বানালাম?”,
“এই পর্যায়ে আমি কোন ভুল করলাম?”,
“আমার intuition কখন আমাকে ভালোভাবে পথ দেখাল?”

উদাহরণ

ডিজাইনাররা যখন পেছনে ফিরে দেখে তারা কেন এমন নকশা করেছিল। অর্থাৎ ওই যে বলছি আমি যখন ৩ মাস পরে ডায়েরি পড়ে বুঝতে পারছি, “এই মদ খাওয়া তার অভিজ্ঞতা আমাকে SHISAKANKO র গভীরে নিয়ে গিয়েছিল।”
3. Slow Thinking (Daniel Kahneman-এর System 2 Thinking)
তত্ত্ব
দ্রুত না, বরং ধীরে চিন্তা করলেই জটিল বিষয় গভীরভাবে বোঝা যায়।

SHISAKANKO মানে
ছোট ছোট জিনিস বানিয়ে, অনেক সময় নিয়ে, নিঃশব্দ পর্যবেক্ষণে থাকা। আমার মদ খাওয়া, বাজার, হাঁটা, রান্না, ডায়েরি লেখা।সবই slow cognition এর চর্চা।

উদাহরণ

জটিল decision-making এর সময় মানুষ ধীরে চিন্তা করে।শিল্পী বা উদ্ভাবকরা একেকটা খুঁটিনাটি ধরার জন্য সময় নেয়।তুমি যখন পায়ের ব্যথা, বাজারের ওজন, বা তালা খোলার ধরন observe করো তখন তুমি slow thinking চর্চা করছো।
4. Mindfulness & Sensorimotor Feedback
তত্ত্ব
 বর্তমান মুহূর্তের শরীরিক অনুভূতিতে পুরোপুরি মনোযোগ রাখা
মদ খেয়ে SHISAKANKO প্রয়োগ
প্রতিটা পা ফেলা, প্রতিটা তালা খোলা, প্রতিটা রান্নার গন্ধ সব mindful অভিজ্ঞতা।মদ তোমার ইন্দ্রিয়ের নিজস্ব filter গুলো কমিয়ে দেয়, ফলে sensorimotor system থেকে brain এর কাছে feedback আসে বেশি নিখুঁতভাবে।
উদাহরণ
খাবারের স্বাদে মনোযোগ দেওয়া
হাত দিয়ে জিনিস তৈরি করে তার texture বোঝা
শিল্পচর্চা বা martial arts-এ থাকা present moment
5. Prototyping as Existential Exploration (অস্তিত্বের খোঁজ)
তত্ত্ব
 নিজের অস্তিত্বকে জানার জন্য কিছু বানানো, তৈরি করা, ভেঙে ফেলা দরকার।
SHISAKANKO-এর দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে 
তুমি একটা চিন্তা ধরলে সেটা কেবল তত্ত্বে রাখো না, তুমি সেটা বানিয়ে ফেলো, শরীর দিয়ে টের পাও, ভুল করো, ভেঙে ফেলো, আবার করো।এই “ডুবতে রাজি থাকা” মানেই অস্তিত্বের গভীর অন্বেষণ।
উদাহরণ
Nietzsche এর "Become who you are"
Osho-এর সমগ্র meditation পদ্ধতিতে ধ্বংস করে নতুন করে বানানো রবি ঠাকুর এর লেখা"ছিন্ন করি কাছি আমি ডুবতে রাজি আছি"  এটাই SHISAKANKO-র আত্মিক রূপ
6. Active Imagination (Carl Jung)
এখানে সঞ্জয় নাথ এর  মদ খাওয়ার তত্ত্ব
নিজের গভীর অসচেতন ভাবনাগুলোর রূপ (symbol, form, image) দেওয়া
SHISAKANKO তে
যখন তুমি একটা সমস্যা বা চিন্তাকে form দাও—বিশেষ করে সৃষ্টিশীলভাবে, তখন তুমি নিজের অচেতন ভাবনাকে প্রকাশ করছো।তুমি যখন mood, ritual, intoxication, and movement দিয়ে এটা করো, তখন একে active imagination বলা যায়।রাতভর রাস্তা হাঁটা মানে নিজের Shadow বা unconscious aspect কে তুলে আনা
ডায়েরি লেখার মাধ্যমে নিজের ভাবনাকে বাস্তব রূপ দেওয়া
একটানা চিন্তাভাবনা দিয়ে একটা আকার বানানো যা বলছে, “এই আমিই!”এই মদ খাওয়া, রাতভোর হাঁটা, রান্না, বাজার, তালা খোলা, ডায়েরি লেখা এসবই এক ধরণের স্বজ্ঞাবোধ + শরীরিক অভিজ্ঞতা + ধীরচিন্তা-এর একত্র সাধনা।SHISAKANKO হলো সেই সাধনার পদ্ধতি যেখানে সৃষ্টির মাধ্যমে চিন্তা, আর চিন্তার মাধ্যমে আত্মোপলব্ধি ঘটে।

Comments

Popular posts from this blog

SANJOYNATHSMANIMMOVIES___SCENE.PY

GTTERMS_FORMALIZATION_GEOMETRIFYING_TRIGONOMETRY

MOTIVES AND THE AXIOMS OF GEOMETRIFYING TRIGONOMETRY