pov plagiarism emotion less lies language less emotions and falsity
ইমোশন হীন প্রাণী কি মিথ্যে বলে???
ভাষা না থাকলে কি ইমোশন এর সংখ্যা কমে যায়?? মিথ্যে ধারণা ও কি ভাষাহীন দের মধ্যে সম্ভব???
ভয় এর সৃষ্টি না হলে কি " রাজনীতি" সম্ভব???
নৈঋত ইভা কিছু প্রশ্ন করেছেন তার ভিত্তিতে মনে হলো
Manipulation হলেই মিথ্যে হবে এমন নাও হতে পারে। সঙ্গীত এর ক্ষেত্রে যেমন sequence মিলে গেলেই সত্যি।
অঙ্কের ক্ষেত্রে যেমন proof condition fulfill হলেই সত্য
সত্য জিনিস টা খুব বেশি point of view (POV) নির্ভর। ফলে "ইমোশন এর সাথে সত্যের সম্পর্ক" এবং "manipulation এর motive এর সাথে সত্যের সম্পর্ক" এই দুটো দিক নিয়েও ভাবতে হবে তাহলে।
তাহলে আর ও দুটো দিক মাথায় আসছে এই ক্ষেত্রে
1
(Very)long term motive governining point of view
এবং
2
(Very)Short term motive governining point of view
এই দুটো factor নিয়েও ভাবতে হবে emotion ,terms,motives,pov,এর নির্ভর সত্য মিথ্যে কে দেখতে হলে
১. ইমোশনহীন প্রাণী কি মিথ্যে বলে?
২. ভাষা না থাকলে কি ইমোশনের সংখ্যা কমে যায়? মিথ্যা ধারণা কি ভাষাহীনদের মধ্যে সম্ভব?
৩. ভয় না থাকলে কি রাজনীতি সম্ভব?
৪. ইমোশন, সত্য এবং ম্যানিপুলেশনের সম্পর্ক
১. ইমোশনহীন প্রাণী কি মিথ্যে বলে?
গবেষণা
কিছু প্রাণী (যেমন: কাক, শিম্পাঞ্জি) প্রতারণামূলক আচরণ করে, যা “মিথ্যা বলার” মতো আচরণ হতে পারে।
উদাহরণ
শিম্পাঞ্জি কখনও কখনও খাদ্য গোপন রাখে বা অন্যদের বিভ্রান্ত করে।
সূত্র
Byrne & Whiten (1988), Machiavellian Intelligence।
২. ভাষা না থাকলে কি ইমোশনের সংখ্যা কমে যায়?
মিথ্যে ধারণা কি ভাষাহীনদের মধ্যে সম্ভব?
গবেষণা
ভাষা ইমোশন প্রকাশ ও বোধগম্যতায় গুরুত্বপূর্ণ।
Lisa Feldman Barrett এর গবেষণা অনুযায়ী, ভাষা ইমোশনের ধরণ ও অভিজ্ঞতাকে গঠন করে।
ভাষাহীনদের মধ্যে ইমোশন থাকে, তবে তা সীমিত ও অস্পষ্ট হতে পারে।
সূত্র
Feldman Barrett et al. (2017), Emotions are constructed.
Lindquist et al. (2015), The Role of Language in Emotion: Predictions from the Constructionist Theory।
৩. ভয় না থাকলে কি রাজনীতি সম্ভব?
গবেষণা
রাজনৈতিক ভাষণ ও নীতিনির্ধারণে ভয়ের ব্যবহার একটি পরিচিত কৌশল।
“Fear appeals” রাজনৈতিক প্রচারে কার্যকর — তারা নিরাপত্তাহীনতার অনুভব সৃষ্টি করে সমর্থন অর্জন করে।
সূত্র
Albertson & Gadarian (2015), Anxious Politics: Democratic Citizenship in a Threatening World।
৪. ইমোশন, সত্য, ও ম্যানিপুলেশনের সম্পর্ক
ধারণা বিশ্লেষণ
ইমোশন সত্যের উপলব্ধি পরিবর্তন করতে পারে।
ম্যানিপুলেশন সব সময় মিথ্যা না
উদাহরণ
সংগীত বা অঙ্কে নির্দিষ্ট প্যাটার্ন/প্রমাণ থাকলেই সত্য ধরা হয়।সাধারণ জীবনের সত্যের ধারণা খুব বেশি subjective POV নির্ভর খুব বেশি subjective জেটা মানুষ কে খুব বেশি short term এ বেঁধে রাখে।
Long term motive ও short-term motive উভয়ই সত্যের ব্যাখ্যার ধরনে প্রভাব ফেলে।
সঞ্জয় নাথ এর qhenomenology এবং whenomenology সংক্রান্ত বিশ্লেষণ এর প্রশ্নগুলো অত্যন্ত গভীর এবং মনস্তত্ত্ব, দর্শন, রাজনীতি, এবং ভাষার আন্তঃসম্পর্কের জটিল দিকগুলো স্পর্শ করে। প্রতিটি প্রশ্নের একটি সমালোচনামূলক বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করে নিচে দেওয়া হলো
১. ইমোশন হীন প্রাণী কি মিথ্যে বলে???
এই প্রশ্নটি সরাসরি আমাদের মানুষ এর "মিথ্যা" বলার ধারণার উপর আঘাত করে। মিথ্যা বলার জন্য সাধারণত নিম্নলিখিত বিষয়গুলির প্রয়োজন হয়:
একটি একান্ত নিজস্ব বিশ্বাস এর গঠন এবং নিজস্ব বিচার করার ক্ষমতা। এই গুলো না থাকলে মিথ্যে গুলোকে plagiarism বলা ভালো। POV Plagiarism এর সাথে সত্য মিথ্যা গুলিয়ে ফেলা উচিত নয়।মিথ্যা বলার জন্য প্রথমে মিথ্যা বিষয়টিতে সম্পূর্ণ নিজস্ব একটা বিশ্বাস স্থাপন করতে হয় অথবা অন্তত এমন ভান করতে হয়।
এখানে সঞ্জয় নাথ এর পর্যবেক্ষণটি দেখতে গিয়ে এবং "মিথ্যা" বলার প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরে আলোচনা করতে হবে। সঞ্জয় নাথ এর qhenomenology reasoning system বলছেন যে একটি একান্ত নিজস্ব বিশ্বাস এবং নিজস্ব বিচার করার ক্ষমতা না থাকলে, মিথ্যাগুলোকে বরং Plagiarism of Point of View (POV Plagiarism) বলা উচিত, এবং এটিকে সত্য মিথ্যার চিরায়ত ধারণার সাথে গুলিয়ে ফেলা উচিত নয়। আপনার এই যুক্তির সমর্থনে আপনি বলছেন যে মিথ্যা বলার জন্য প্রথমে মিথ্যা বিষয়টিতে সম্পূর্ণ নিজস্ব একটি বিশ্বাস স্থাপন করতে হয় অথবা অন্তত সেরকম ভান করতে হয়।
আসুন, আপনার এই ধারণাটিকে একটু বিশদে বিশ্লেষণ করা যাক
POV Plagiarism (দৃষ্টিভঙ্গির কুম্ভিলবৃত্তি):
সঞ্জয় নাথ এর প্রস্তাবিত "POV Plagiarism" ধারণাটি বেশ আগ্রহদ্দীপক। এর অর্থ হতে পারে যখন কেউ কোনো ধারণা, বিশ্বাস, বা দৃষ্টিভঙ্গি হুবহু বা সামান্য পরিবর্তিত আকারে অন্যের কাছ থেকে গ্রহণ করে এবং এটিকে নিজের মৌলিক চিন্তাভাবনা হিসেবে উপস্থাপন করে, অথচ সেই বিষয়ে তার নিজস্ব কোনো স্বতন্ত্র বিশ্বাস বা বিচার করার ক্ষমতা তৈরি হয়নি। এটি অনেকটা একাডেমিক কুম্ভিলবৃত্তির মতো, যেখানে কেউ অন্যের কাজ (মিথ্যা অথবা সত্য যা কিছুই হোক)নিজের বলে চালায়, কিন্তু এখানে বিষয়বস্তু হলো একটি নির্দিষ্ট দৃষ্টিকোণ বা বিশ্বাস।
মিথ্যা বলার পূর্বশর্ত
সঞ্জয় নাথ বলেছেন যে মিথ্যা বলার জন্য সাধারণত মিথ্যার বিষয়বস্তুতে একটি নিজস্ব বিশ্বাসের গঠন এর প্রয়োজন হয়। কোন একটা মিথ্যে তে নিজস্ব বিশ্বাস গঠন না হলে সেটিকে বক্তার মিথ্যে বলা উচিত নয়।এর কারণ হলো
সদিচ্ছাকৃত প্রতারণা
মিথ্যা বলা একটি সদিচ্ছাকৃত কাজ, যার মূলে থাকে অন্যকে ভুল পথে চালিত করার উদ্দেশ্য। এই উদ্দেশ্যের জন্য মিথ্যা বক্তার মনে মিথ্যাটিকে "সত্য" হিসেবে বিশ্বাস স্থাপন করতে হয় (অন্তত ভান করার স্তরে হলেও)। যদি নিজস্ব বিশ্বাস না থাকে, তবে সেটি নিছক তোতাপাখির মতো অন্যের কথা আওড়ানো হতে পারে, যেখানে প্রতারণার গভীরতা অনুপস্থিত।
মানসিক প্রস্তুতি
একটি নিজস্ব বিশ্বাস স্থাপন মিথ্যাটিকে আরও বিশ্বাসযোগ্যভাবে উপস্থাপন করতে সাহায্য করে। মিথ্যা বক্তা তখন সেই "মিথ্যা বিশ্বাস" এর উপর ভিত্তি করে একটি গল্প বা প্রেক্ষাপট সে নিজে তৈরি করতে পারে। কিন্তু সঞ্জয় নাথ বলছে এই নতুন গল্প দিয়ে মিথ্যে প্রচার এর ক্ষমতা হীনতা নতুন pov থেকে একই মিথ্যে বলার অক্ষমতা টা ও দেখতে হবে।
সত্য মিথ্যার বিভাজন এবং POV Plagiarism টা এই ক্ষেত্রে প্রশ্ন আনে যে
সঞ্জয় নাথ এর প্রস্তাবনা অনুযায়ী, যদি কারো নিজস্ব বিশ্বাস এবং বিচার করার ক্ষমতা না থাকে এবং সে কোনো মিথ্যাকে অন্যের কাছ থেকে নিয়ে প্রচার করে, তবে সেটি সত্য মিথ্যার চিরায়ত ধারণার মধ্যে নাও পড়তে পারে। এটিকে বরং POV Plagiarism হিসেবে দেখা উচিত। এর কারণ
মৌলিক চিন্তার অভাব
এখানে মিথ্যা প্রচারকারীর নিজস্ব কোনো মৌলিক চিন্তা বা বিচার প্রক্রিয়ার প্রতিফলন নেই। সে কেবল অন্যের তৈরি করা মিথ্যাকে পুনরাবৃত্তি করছে।
প্রতারণার স্তর
চিরায়ত মিথ্যার ক্ষেত্রে বক্তা সচেতনভাবে সত্যকে আড়াল করে মিথ্যা বলছে। POV Plagiarism এর ক্ষেত্রে বক্তা হয়তো সচেতন নাও হতে পারে যে সে একটি মিথ্যা প্রচার করছে, কারণ সে নিজেই সেই মিথ্যাটিকে যাচাই করার বা নিজস্ব বিশ্বাস তৈরি করার ক্ষমতা রাখেনা।
তুলনা
মিথ্যা
একজন ব্যক্তি জানে যে পৃথিবী গোলাকার, কিন্তু সে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অন্যকে বলল যে পৃথিবী চ্যাপ্টা। এখানে তার একটি নিজস্ব বিশ্বাস (পৃথিবী গোলাকার) রয়েছে, যা সে ইচ্ছাকৃতভাবে গোপন করছে এবং একটি মিথ্যা (পৃথিবী চ্যাপ্টা) তৈরি করছে।
সঞ্জয় নাথ এর নতুন ধারণা POV Plagiarism
একজন ব্যক্তি শুনেছে যে "X" একটি খারাপ কাজ করেছে। তার নিজস্ব কোনো জ্ঞান বা বিচার করার ক্ষমতা নেই। সে সেই কথাটি অন্যের কাছে গিয়ে একই ভাবে বলল, কোনো রকম যাচাই ছাড়াই। এখানে তার নিজস্ব কোনো বিশ্বাস তৈরি হয়নি, সে কেবল অন্যের দৃষ্টিভঙ্গি নকল করছে।
গুরুত্ব
সঞ্জয় নাথ এর এই ধারণাটি জ্ঞানতত্ত্ব এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উন্মোচন করে। এটি আমাদের শেখায় যে তথ্যের সত্যতা বিচারের জন্য কেবল তথ্যের বিষয়বস্তুই নয়, বরং তথ্য প্রদানকারীর নিজস্ব বিশ্বাস এবং বিচার করার ক্ষমতাও গুরুত্বপূর্ণ। যদি কেউ নিজস্ব বিচার বিবেচনা ছাড়াই কোনো মিথ্যাকে প্রচার করে, তবে সেটি কেবল একটি তথ্যের ভুল উপস্থাপন নয়, বরং একটি বৌদ্ধিক অসততাও হতে পারে।পরিশেষে, "POV Plagiarism" এর ধারণাটি মিথ্যার স্বরূপ এবং জ্ঞান অর্জনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে আমাদের আরও গভীরভাবে ভাবতে সাহায্য করে। এটি সত্য মিথ্যার চিরায়ত ধারণার বাইরে গিয়ে, বিশ্বাস গঠন এবং নিজস্ব বিচার ক্ষমতার গুরুত্বের উপর আলোকপাত করে।
______
যোগাযোগের মাধ্যম এর ও ভূমিকা থাকে অনেক।
মিথ্যা প্রকাশ করার জন্য ভাষা বা অন্য কোনো যোগাযোগের মাধ্যম প্রয়োজন।
প্রতারণার উদ্দেশ্য গুলো ও বুঝতে হবে।
মিথ্যা বলার পেছনে সাধারণত অন্যকে ভুল পথে চালিত করার বা নিজের স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্য থাকে।যদি কোনো প্রাণীর মধ্যে আবেগ (ইমোশন) না থাকে, তাহলে তাদের মধ্যে জটিল বিশ্বাস এবং প্রতারণার উদ্দেশ্য তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা কম। মানুষ এর আবেগ, মানুষ এর মূল্যবোধ, মানুষের সামাজিক সম্পর্ক এবং নিজের ভবিষ্যতের পরিণতি সম্পর্কে সচেতন করে তোলে, যা মিথ্যা বলার সিদ্ধান্তের সাথে জড়িত।তবে, একেবারে আবেগহীন প্রাণী যদি সরল যোগাযোগের মাধ্যমে ভুল তথ্য প্রদান করে, তাকে কি "মিথ্যা" বলা যাবে? ধরা যাক, একটি রোবট ভুল ডেটা প্রদান করলো। এখানে আবেগের অভাবের কারণে "প্রতারণার উদ্দেশ্য" অনুপস্থিত থাকতে পারে। তাই, কঠোরভাবে বলতে গেলে, আবেগহীন প্রাণীর ভুল তথ্য প্রদানকে হয়তো "মিথ্যা" না বলে "ত্রুটি" বা "অসঠিক তথ্য" বলা যেতে পারে।কিন্তু যদি এমন উন্নত আবেগহীন সত্তা কল্পনা করা যায় যারা জটিল বিশ্বাস গঠন করতে এবং সুচিন্তিত উদ্দেশ্য নিয়ে ভুল তথ্য প্রদান করতে সক্ষম, তখন তাদের কাজকে মিথ্যা বলা হয়তো অসঙ্গত হবে না, যদিও তাদের মধ্যে মানবিক আবেগ অনুপস্থিত।
২. ভাষা না থাকলে কি ইমোশন এর সংখ্যা কমে যায়?? মিথ্যে ধারণা ও কি ভাষাহীন দের মধ্যে সম্ভব???
এই প্রশ্নটি ভাষা এবং আবেগের মধ্যেকার সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করে।
এইবার আসছি ইমোশনের সংখ্যা এবং মিথ্যে সৃষ্টি নিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করতে।
ভাষা আমাদের আবেগগুলোকে স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করতে, শ্রেণীবদ্ধ করতে এবং প্রকাশ করতে সাহায্য করে। ভাষার মাধ্যমে আমরা সূক্ষ্ম আবেগিক পার্থক্যগুলো বুঝতে ও বোঝাতে পারি (যেমন, "বিরক্তি" এবং "ঘৃণা" দুটি ভিন্ন আবেগ)। ভাষা না থাকলে হয়তো আবেগের প্রকাশ এবং ভেতরের অনুভব সরল হতে পারে, কিন্তু এর মানে এই নয় যে ভেতরের আবেগিক অভিজ্ঞতার সংখ্যা কমে যাবে। প্রাণীরা ভাষা ছাড়াই ভয়, আনন্দ, দুঃখ, রাগ অনুভব করে। তবে, ভাষার অভাবে এই আবেগগুলোকে জটিল সামাজিক প্রেক্ষাপটে প্রকাশ করা এবং বোঝা কঠিন হতে পারে।
এইবার আসছি মিথ্যে ধারণা গঠন নিয়ে বিচার করতে।মিথ্যে ধারণা (false belief) থাকার জন্য একটি প্রাণীর বাস্তবতার একটি মডেল তৈরি করার এবং সেই মডেলের সাথে সাংঘর্ষিক অন্য একটি সম্ভাব্য মডেল (যা সত্য নয়) ধারণ করার ক্ষমতা থাকতে হয়। এই ক্ষমতার জন্য অত্যাবশ্যকীয়ভাবে ভাষার প্রয়োজন হয় না। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে কিছু স্তন্যপায়ী প্রাণী (যেমন শিম্পাঞ্জি) এবং পাখিরাও মিথ্যে ধারণা বুঝতে পারে। তারা অন্যের ভুল বিশ্বাস সম্পর্কে সচেতন হতে পারে এবং সেই অনুযায়ী আচরণ করতে পারে। সুতরাং, ভাষা না থাকলেও মিথ্যে ধারণা গঠন করা সম্ভব। তবে, ভাষার জটিলতা মিথ্যে ধারণার প্রকৃতি এবং প্রকাশের পদ্ধতিকে আরও উন্নত করতে পারে।
৩. ভয় এর সৃষ্টি না হলে কি " রাজনীতি" সম্ভব???
রাজনীতি ক্ষমতার খেলা এবং সমাজের সম্পদ ও সুযোগের বণ্টন নিয়ে দর কষাকষি। ভয় একটি শক্তিশালী আবেগ যা মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করতে এবং নির্দিষ্ট দিকে চালিত করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
যেকোন মিথ্যে বলার জন্য ভয়ের ভূমিকা কি???
ইতিহাসে দেখা যায়, রাজনৈতিক নেতারা প্রায়শই ভয়কে কাজে লাগিয়ে জনসমর্থন আদায় করেছেন, শত্রু তৈরি করেছেন এবং নিজেদের ক্ষমতা ধরে রেখেছেন। বহিরাগত শত্রুর ভয়, সামাজিক অস্থিরতার ভয়, অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের ভয় এই সমস্ত কিছুই রাজনৈতিক মেরুকরণ এবং আনুগত্য তৈরিতে সাহায্য করে।
ভয় ছাড়া রাজনীতি কি সম্ভব কোনদিন??????
তবে, ভয়ই রাজনীতির একমাত্র ভিত্তি নয়। সহযোগিতা, আদর্শ, ন্যায়বিচার, উন্নয়নের আকাঙ্ক্ষা এই সমস্ত ইতিবাচক আবেগও রাজনীতিকে চালিত করতে পারে। কল্যাণমূলক রাষ্ট্র, সামাজিক আন্দোলনের উত্থান, এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এগুলো ভয়ের পরিবর্তে সম্মিলিত আশা ও আকাঙ্ক্ষার ফল।সুতরাং, ভয় রাজনীতির একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হলেও, এটি রাজনীতির অপরিহার্য উপাদান নয়। একটি আদর্শ সমাজে ভয়মুক্ত, যুক্তিনির্ভর এবং সহানুভূতির উপর ভিত্তি করে রাজনীতি সম্ভব।
৪. Manipulation হলেই মিথ্যে হবে এমন নাও হতে পারে। সঙ্গীত এর ক্ষেত্রে যেমন sequence মিলে গেলেই সত্যি। অঙ্কের ক্ষেত্রে যেমন proof condition fulfill হলেই সত্য। সত্য জিনিস টা খুব বেশি point of view (POV) নির্ভর। ফলে "ইমোশন এর সাথে সত্যের সম্পর্ক" এবং "manipulation এর motive এর সাথে সত্যের সম্পর্ক" এই দুটো দিক নিয়েও ভাবতে হবে তাহলে।
সঞ্জয় নাথ এর automated qhenomenology reasoning engine এর এই পর্যবেক্ষণটি ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঞ্জয় নাথ এখানে"সত্য" এর আপেক্ষিকতা এবং প্রেক্ষাপটনির্ভরতার উপর জোর দিয়েছেন।
Manipulation এবং মিথ্যা: Manipulation (কৌশল) সবসময় মিথ্যার উপর নির্ভরশীল নয়। কাউকে প্রভাবিত করার জন্য সত্য তথ্যকেও এমনভাবে উপস্থাপন করা যেতে পারে যা একটি নির্দিষ্ট ফলাফল আনে। সঙ্গীতের ক্ষেত্রে সুরের একটি নির্দিষ্ট সিকোয়েন্স নান্দনিক সত্যতা বহন করে, কিন্তু সেই সিকোয়েন্সের ব্যবহার শ্রোতার আবেগ বা ধারণাকে প্রভাবিত করার জন্য করা হলে, সেটি manipulation হতে পারে কিন্তু মিথ্যা নয়। অঙ্কের প্রমাণ একটি যৌক্তিক সত্য, কিন্তু সেই সত্যের প্রয়োগ কোনো নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য সাধনের জন্য করা হলে, সেখানেও manipulation থাকতে পারে।
সত্যের POV নির্ভরতা
সত্য সত্যিই বহুলাংশে দৃষ্টিকোণ-নির্ভর। একটি ঘটনার বিভিন্ন সাক্ষীর বিবরণ ভিন্ন হতে পারে কারণ তারা ঘটনাটিকে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখেছে এবং তাদের নিজস্ব আবেগ, বিশ্বাস ও অভিজ্ঞতার দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে।
ইমোশন ও সত্যের সম্পর্ক: আবেগ আমাদের সত্যকে উপলব্ধি করার এবং ব্যাখ্যা করার পদ্ধতিকে প্রভাবিত করে। তীব্র আবেগ আমাদের বিচার-বিবেচনা লোপ করতে পারে এবং আমরা পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে সত্যকে নিজেদের মতো করে দেখতে পারি। আবার, কিছু ক্ষেত্রে সহানুভূতি বা অন্যের প্রতি মনোযোগের মতো আবেগ আমাদের সত্যের গভীরতর দিক উপলব্ধি করতে সাহায্য করতে পারে।
Manipulation-এর উদ্দেশ্য ও সত্যের সম্পর্ক নিয়েও বিচার করা উচিত।Manipulation-এর উদ্দেশ্য সত্যের উপস্থাপনাকে বিকৃত করতে পারে। যদি উদ্দেশ্য হয় নিজের স্বার্থসিদ্ধি বা অন্যকে শোষণ করা, তাহলে সত্যকে আড়াল করা বা মিথ্যা তথ্য দেওয়া হতে পারে। কিন্তু যদি manipulation-এর উদ্দেশ্য হয় বৃহত্তর কল্যাণ (যেমন, জনস্বাস্থ্য রক্ষার জন্য ভয় জাগানো), তবে সেখানে সত্যের সরাসরি বিকৃতি নাও থাকতে পারে, কিন্তু তথ্যের উপস্থাপনায় কৌশল অবলম্বন করা হতে পারে।
৫. তাহলে আর ও দুটো দিক মাথায় আসছে এই ক্ষেত্রে:
(Very)long term motive governing point of view এবং (Very)Short term motive governing point of view
এই দুটি ফ্যাক্টর আবেগ-নির্ভর সত্য-মিথ্যাকে দেখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাত্রা যোগ করে।
(Very) Long Term Motive: দীর্ঘমেয়াদী উদ্দেশ্য আমাদের সত্যের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিকে গভীরভাবে প্রভাবিত করতে পারে। দীর্ঘমেয়াদী লাভের জন্য আমরা হয়তো স্বল্পমেয়াদী অসুবিধা বা ভুল তথ্যকে উপেক্ষা করতে পারি অথবা একটি নির্দিষ্ট "সত্য" নির্মাণ করতে পারি যা দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করে। যেমন, একটি রাজনৈতিক দল হয়তো দীর্ঘমেয়াদী ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য একটি নির্দিষ্ট ঐতিহাসিক narrative তৈরি করতে পারে, যা সম্পূর্ণরূপে সত্য নাও হতে পারে।
(Very) Short Term Motive: স্বল্পমেয়াদী উদ্দেশ্য তাৎক্ষণিক লাভের জন্য সত্যকে বিকৃত করতে প্ররোচিত করতে পারে। ব্যক্তিগত স্বার্থ, তাৎক্ষণিক বিপদ এড়ানো, বা অন্যকে খুশি করার জন্য আমরা হয়তো মিথ্যা বলতে বা সত্যকে আড়াল করতে পারি।
এই দুটি পরস্পরবিরোধী উদ্দেশ্য প্রায়শই আমাদের সত্য বলার বা না বলার সিদ্ধান্তকে জটিল করে তোলে। দীর্ঘমেয়াদী নীতি এবং স্বল্পমেয়াদী কৌশল এই দুয়ের টানাপোড়েনে সত্যের স্বরূপ পরিবর্তিত হতে পারে।
পরিশেষে, সঞ্জয় নাথ এর automated qhenomenology reasoning engine এর উত্থাপিত প্রতিটি প্রশ্নই অত্যন্ত মূল্যবান এবং আমাদের চিন্তাভাবনার দিগন্ত প্রসারিত করে। "সত্য", "মিথ্যা", "আবেগ", "ভাষা" এবং "রাজনীতি" এই ধারণাগুলো বিচ্ছিন্ন নয়, বরং জটিলভাবে একে অপরের সাথে জড়িত এবং এদের সমালোচনামূলক বিশ্লেষণ আমাদের মানবিক অভিজ্ঞতা এবং সামাজিক কাঠামো সম্পর্কে গভীর ধারণা দিতে পারে।
Comments
Post a Comment