এই মানুষ সমাজ এর determinism এবং প্রকৃতির determinism সংক্রান্ত প্রশ্ন

এই মানুষ সমাজ এর determinism এবং প্রকৃতির determinism সংক্রান্ত প্রশ্ন 
Himanshu Pal Sir এবং Pritam Biswas Sir এর আলোচনা থেকে আমার (সঞ্জয় নাথ এর মাথায় আসা কিছু বিদঘুটে প্রশ্ন)

সঞ্জয় নাথ এর post থেকে আলোচনা আরম্ভ হয়েছে 

যদি মানুষ মুহূর্তের মধ্যে দশমিক 37 ডিজিট অবধি calculate করতে সক্ষম হয় এবং যদি মানুষ সমস্ত symmetry কে একত্রিত ভাবে calculate করতে সক্ষম হয় তাহলে হয়তো সামাজিক অনেক নিয়ম কে deterministic করে ফেলতে সক্ষম হবে 

প্রাকৃতিক সূক্ষতা হয়তো মানব জীবনে প্রয়োজন হয় না


Plank heisenberg dilemma of non commutativity of action।
🤣🤣🤣🤣🤣🤣🤣🤣🤣🤣🤣🤣🤣🤣

আমি এখন আরম্ভ করবো একটা বিচিত্র গল্প জেটা সম্পূর্ণ রকমের আমার মনগড়া 
তবে হাইজেনবার্গ এর noncommutativity কে প্লাঙ্ক এর ধ্রুবক কে মিলিয়ে accounting এর একটা তত্ত্ব।

Man day হচ্ছে শ্রম এর একক।elephant day বলে কোন শ্রম এর এখন নেই এখনো।day man বলেও কোন একক নেই এখনো।hour man বলেও কোন একক নেই এখনো। কেনো যাবেন??????????????
Intelligent decider Man যদি মুখ্য factor শ্রমিক হয় আর hour টা যখন গৌণ হয়ে তাহলে man hour একক টা প্রয়োগ যোগ্য। দারোয়ান এর ক্ষেত্রে বুদ্ধির থেকে বেশি প্রয়োজন স্রেফ ঘণ্টা ধরে গেট এ (গেট আগলে)বসে থাকা সেই ক্ষেত্রে decision নিতে হয় না ফলে hour man একক টা প্রয়োগ যোগ্য হলেও হতে পারে। যেহেতু zero ডিসিশন এফোর্ট বলে কোন কাজ মানুষ করে না ফলে hour man বলে কোন ধরনের শ্রম এর একক নেই এখনো। প্রথমেই ধরে নেওয়া হয়েছে যে মানুষ যেকোন ধরনের শ্রম করুক না কেনো তাতে human intelligence দরকার হয় অবশ্যই।human decision দরকার হয় অবশ্যই। যদি কোনদিন zero human intelligence but only human effort ধরনের শ্রম তৈরি হয় সেই ক্ষেত্রে hour man বলে শ্রম এর একক তৈরি হবে হয়তো। হয়তো এমন দিন আসবে যখন decision গুলো মেশিন নেবে intelligence গুলো ai করবে এবং মানুষ কেবল শ্রম করবে তখন hour man একক টা হয়তো প্রচলিত হবে। এখন ও পর্যন্ত hour man বলে কোন ধরনের শ্রম এর একক হয় না কারণ human decision ability and intelligence টা প্রাথমিক মানুষ শ্রম ধরে নেওয়া হয়। মানুষ এর দৈহিক শ্রম টা secondary মানুষ শ্রম ধরে নেওয়া হয়।i repeat strictly again যে যদি zero human dependebce in intelligence এবং zero human decision এর পৃথিবী তৈরি হয় এবং মানুষ কেবল zero intelligence শ্রম করতে আরম্ভ করে তাহলে hour man ধরনের শ্রম এর একক ও তৈরি হবে। অর্থাৎ গুণ ফল গুলো non commutative।man hour কিছুতেই hour man এর সাথে তুলনা যোগ্য নয়। দুটোই কিন্তু মানুষ এর শ্রম এর একক। অথচ man hour বললে বুঝতে হবে মানুষ টা intelligent ভাবে শ্রম এর মধ্যে active participate করছে। আর hour man বললে বুঝতে হবে man secondary শ্রমিক। সেই ক্ষেত্রে hour টা মুখ্য deciding factor শ্রমিক। অর্থাৎ যেকোন ধরনের গুণফল noncommutative। আমরা মন দিয়ে দেখি না।heisenberg দার্শনিক ভাবে সেইটাই বুঝিয়ে বলেছেন যে শ্রম এর ক্ষেত্রে মানুষ মুখ্য ভূমিকা পালন করলে man hour টা কে শ্রম এর একক ধরে নিতে হবে। কিন্তু কিছু কিছু শ্রম রয়েছে যেখানে hour টা মূল শ্রম এর অংশ। মানুষ টা মূল শ্রমিক নয়। সেই ক্ষেত্রে hour man টা কে শ্রম এর একক হিসেবে ধরতে হবে। উদাহরণ হিসেবে বলি। Sleeping is a verb। Human sleeps। Human does sleeping non intelligently for some hours।ঘুম একটা verb।verb গুলো শ্রম। ঘুমোনোর সময় মানুষ কেবল ঘণ্টা মেপে ঘুমোয়। ফলে মানুষ ঘুমোনোর সময় ঘণ্টা টা মুখ্য শ্রমিক এবং মানুষ টা গৌন শ্রমিক ফলে মানুষ এর ঘুম এর শ্রম টা কে hour man শ্রম একক এ পরিমাপ করা উচিত।hiesenberg এর দর্শন টা এমন ধরনের non commutative action এর কথা বলেছে প্রথম physics এ । ঘুমোনোর ক্ষেত্রে মানুষ টা মুখ্য শ্রমিক নয়। সেই সময় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছিল এবং physicist দের মাথায় এতো গভির দর্শন চর্চা করার সময় ছিল না। প্রত্যেকে এটম বোম তৈরি করার তাড়াহুড়ো করছিল।otherwise niels bohr,einstein,openheimer প্রত্যেকেই এই দর্শন টা তে খুব intetested ছিলেন।heisenverg সরাসরি hitler এর সাথে কাজ করছিলেন বলে এই important noncommutative hour man এর দর্শন টা নিয়ে চর্চা হয়নি তখন।ooenheimer বহু বার বলেছেন আইনস্টাইন ও অনেক বার এই দর্শন টা নিয়ে চর্চা করতে চেয়েছেন কিন্তু কোন university সেই সময় এতো বড়ো একটা গভীর দর্শন নিয়ে চর্চা করতে চায় নি।ai এসে গেছে এখন এই hour man এর মতন হিউম্যান শ্রম একক টা হয়তো চর্চায় আসবে তাড়াতাড়ি।
Man day হচ্ছে বড়ো শ্রম এর একক।man hour টা ছোট শ্রম এর একক। বড়ো শ্রম কে ছোট শ্রম এর স্তরে ভেঙে ভেঙে দেখতে হলে man hour এর দিক থেকে হিসেব করতে হয়। আরো একটা দিক অবশ্যই চিন্তা করতে হয়।man month,man year বলেও দুটো একক প্রচলিত ছিল সুয়েজ খাল তৈরি করার সময় man year এর একক নিয়ে বিচার করতে হতো। অনেকেই এই গল্প গুলো পড়েছেন "mythical man month" বইতে যেখানে বোঝানো হয়েছে যে software development এর ক্ষেত্রে লোক সংখ্যা বাড়ালে কাজ আরো বেড়ে যায় ফলে সময় আরো বেশি লাগে software সম্পূর্ণ করতে। অর্থাৎ সমস্ত ধরনের শ্রম এর ক্ষেত্রে man day পরিমাপ করা উচিত নয়।man month ও সমস্ত ধরনের শ্রম এর ক্ষেত্রে প্রয়োগ যোগ্য নয়। যেই ধরনের শ্রম এর ক্ষেত্রে বার বার decision নেওয়ার দরকার হয় না একই গত এক রিপিট রিপিট রিপিট কাজ করা যায় সেই ক্ষেত্রে man year এর প্রয়োগ সম্ভব। এবং গোটা মাসে একবার decision নিয়ে গোটা মাস একই ধরনের কাজ রিপিট করার অবস্থা তে man month এর শ্রম পরিমাপ এর একক টা চলে। একই ভাবে গোটা দিনে একবার কেবল কাজ ঠিক করে নিয়ে একবার decision নিয়ে গোটা দিন একই কাজ রিপিট করা গেলে man day ধরনের একক চলে। কিন্তু যদি একজন লোক একই দিনে 8 রকমের ভিন্ন ভিন্ন ধরনের কাজ করে তাহলে man day ধরনের একক চলে না। যেমন সমস্ত দূরত্ব কে mm দিয়ে পরিমাপ করি না। কিছু দূরত্ব km এর সাহায্যে ও পরিমাপ করি। কিছু দূরত্ব কে feet inch এ পরিমাপ করি তেমনি practical পৃথিবীতে প্রয়োগ এর কারণে কোথাও কোথাও man hour প্রয়োগ করা হয়। একই ভাবে প্রত্যেক সেকেন্ড এ decision পরিবর্তন করতে হলে man second একক এর সাহায্যে শ্রম কে পরিমাপ করা উচিত। হাতি যেহেতু কোনদিন কোন decision নেয় না ফলে elephant power ও একক নেই elephant hour একক ও কেউ তৈরি করেনি। তাহলে বুঝতে পারছি দৈহিক শ্রম টা কেবল শ্রম নয়।decision change এর frequency টা দৈনিক নাকি মাসিক নাকি ঘণ্টার উপর পরিবর্তন শীল তার উপর শ্রম এর গণনা টা নির্ভর করে। অর্থাৎ man সংখ্যার সাথে ঘণ্টা সংখ্যা গুণ করলে decidable intelligent শ্রম এর পরিমাপ তৈরি হয়।intelligence,decision নেওয়ার ক্ষমতা,decision গুলো বুঝে বার বার শ্রম পদ্ধতি পরিবর্তন করার ক্ষমতা এবং দৈহিক শ্রম করা সমস্ত factor একত্রিত ভাবে মেপে man hour একক টা তৈরি হয়েছে। প্লেন এর পাইলট দের যেহেতু প্রত্যেক সেকেন্ড এ decision পরিবর্তন করতে হয় ফলে তাদের শ্রম কে pilot সেকেন্ড এ ও পরিমাপ করে অনেক ক্ষেত্রেই। অর্থাৎ man second ও এক ধরনের শ্রম এর একক যেই ধরনের শ্রম এর ক্ষেত্রে প্রত্যেক সেকেন্ড এ দৈহিক শ্রম এর ধরন পরিবর্তন করতে হয়। গাড়ি তৈরি করার ক্ষেত্রে প্রত্যেক ঘণ্টায় ভিন্ন ভিন্ন ধরনের শ্রম করতে হয় বলে man day না use করে man hour টা আমেরিকা তে প্রচলিত হয়েছে henri ford এর ঘণ্টা মেপে well decision oriented এবং ভিন্ন ভিন্ন ধরনের শ্রম এর ক্ষেত্র তে। কিন্তু elephant hour বলে একক এখনো কেউ তৈরি করেনি। কারণ হাতির শ্রম এর ক্ষেত্রে decision পরিবর্তন করা যায় না। হাতি যেকোন একটা কাজ এর ক্ষেত্রে trained হতে অনেক সময় নেয়। ফলে elephant day বলে কোন একক এর প্রচলন ও হয় নি।horse power অনেক পুরানো একক। স্টিম চালিত ইঞ্জিনের সময় থেকে horse power এসেছে কিন্তু elephant power বলে কোন ধরনের একক এখনো নেই। অর্থ্যাৎ দুটি ভিন্ন ধরনের জিনিস কে গুণ করে তৃতীয় ধরনের জিনিস কে ব্যাখ্যা করার প্রচলন তৈরি হলেই physics এর নতুন পৃথিবী গঠিত হয়ে যায়।plank এমন একটা বিচিত্র physical রাশি ধারণা টা তৈরি করেছিলেন যেখানে man hour এর মতন এবং man second এর মতন joule second এর প্রচলন হয়েছে। অর্থাৎ আলো শক্তি অথবা উত্তাপ শক্তি যখন নিজেই শ্রমিক আর মতন কাজ করে তখন শক্তি কেই হাতি ঘোড়া মানুষ এর মতন করে চিন্তা করা যেতে পারে। এই ভাবে দেখলে plank এর ধ্রুবক কে second joule হিসেবে action এর একক ও দেখা যায় আবার joule সেকেন্ড ধরনের action এর একক রূপে ও দেখা যায়। শক্তি নিজেই যখন intelligent decider শ্রমিক এর ভূমিকা পালন করে কিছু সময় ধরে কোন শ্রম করে তখন সেইটা কে action বলা হয়। একই ভাবে শ্রম নিজেই যদি intelligent decider শ্রমিক এর মতন যদি নিজেই শ্রমিক এর ভূমিকা পালন করে কিছু সময় ধরে শ্রম করে তখন ও সেইটা action হিসেবে দেখা হয়। এইবার প্রশ্ন হচ্ছে non commutative action এর ক্ষেত্রে কি হবে??? অর্থ্যাৎ আলো শক্তি যদি ঘুমিয়ে যায় কিছু সময় এর জন্য তাহলে সেই action পরিমাপ করার জন্য কি second joule একক প্রয়োগ হোয়া উচিত??? একইভাবে উত্তাপ শক্তি যদি কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে যায় সেই ক্ষেত্রেও হয়তো joule second এর পরিবর্তে সেকেন্ড জুলে action কে পরিমাপ করতে হবে।Plank heisenberg dilemma of non commutativity of action।

Plank এর আগে শক্তি কে শ্রমিক হিসেবে কেউ কল্পনা করে নি। অর্থাৎ আলোক শক্তি নিজেই যখন কোন শ্রমিক এর মতন আচরণ করে এবং প্রত্যেক second এ শ্রম এর পদ্ধতি অথবা শ্রম এর প্রকৃতি সে (আলো অথবা তাপ অথবা শব্দ অথবা যেকোন শক্তি)পরিবর্তন করতে সক্ষম হয় তখন joule সেকেন্ড একক টা প্রয়োগ করা যেতে পারে।

দার্শনিক ভাবে দেখলে শক্তি যখন নিজেই শ্রমিক এবং শক্তি যখন নিজেই তার শ্রম এর প্রকৃতি টা প্রত্যেক মাইক্রো সেকেন্ড এর ব্যবধান এ পরিবর্তন করতে সক্ষম হয় তখন joule second একক টা প্রয়োগ যোগ্য। অর্থাৎ আলো যদি নিজের চরিত্র টা wave রূপে কোন কাজ করতে সক্ষম হয় আবার particle রূপে ভিন্ন কোন শ্রম করতে সক্ষম হয় তাহলে এক সেকেন্ড এর অনেক কম সময়ে আলো নিজের শ্রমিক চরিত্র পরিবর্তন করে করে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের শ্রম করতে পারে।

https://www.facebook.com/share/p/1dCnhiF3y1/


এই মানুষ সমাজ এর determinism এবং প্রকৃতির determinism সংক্রান্ত প্রশ্ন 

হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তা বিধি থাকা সত্ত্বেও অনেকেই  ব্যক্তিগত জীবনের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বলেন এই জগৎটা(মানুষ এর সমাজ এর ক্ষেত্রে )deterministic. এখানে যা কিছু ঘটে, সবই পূর্বনির্ধারিতভাবে ঘটে। চিত্রনাট্য আগে থাকতেই লেখা হয়ে থাকে, আর আমরা পুতুলনাচের পুতুলের মতো সেই চিত্রনাট্য অনুযায়ী চলে ফিরে বেড়াই মাত্র। কিন্তু শেষ পর্য্যন্ত কী ঘটবে না ঘটবে, সেটা যে আগে থাকতেই নির্ধারিত হয়ে থাকে, তা আমরা টেরও পাই না। এটা অনেকের প্রায় ৮০ বছরের ব্যক্তিগত জীবনের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বলেন।আবার আরেক দিক থেকে দেখলে বুঝি যে মানুষ জীবন এর অভিজ্ঞতা এবং দৃষ্টিভঙ্গি খুবই গভীর এবং তাৎপর্যপূর্ণ। ব্যক্তিগত জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে অনেকেই মনে করেন যে জীবন যেন পূর্বনির্ধারিত, যেন সবকিছু একটা অদৃশ্য চিত্রনাট্য অনুসারে চলছে। এটি দর্শনের দৃষ্টিকোণ থেকে "ডিটারমিনিজম" নামে পরিচিত, যেখানে মনে করা হয়, এই মহাবিশ্বের প্রতিটি ঘটনা আগে থেকেই নির্ধারিত এবং কোনো কিছুই আসলে অনিশ্চিত নয়।তবে, বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি একটু জটিল। ক্লাসিকাল পদার্থবিজ্ঞান সত্যিই ডিটারমিনিস্টিক ছিল, যেমন নিউটনের বলবিদ্যা অনুযায়ী, যদি কোনো বস্তুর বর্তমান অবস্থা সম্পূর্ণ জানা যায়, তবে তার ভবিষ্যৎ গতিপথ নিখুঁতভাবে বলে দেওয়া সম্ভব। কিন্তু কোয়ান্টাম মেকানিক্স এই ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করে। হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তা নীতি দেখায় যে প্রকৃতির মৌলিক পর্যায়ে অনির্দিষ্টতা রয়েছে—অর্থাৎ, একই সময়ে কোনো কণার অবস্থান ও গতিবেগ নির্ভুলভাবে নির্ধারণ করা যায় না।তবে, এটি কি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের ঘটনাগুলোর ওপর প্রভাব ফেলে? এখানেই ব্যাপারটা আরও সূক্ষ্ম। কোয়ান্টাম অনিশ্চয়তা আমাদের ব্যক্তিগত জীবনের প্রতিটি ঘটনায় প্রভাব ফেলছে কি না, তা নিশ্চিতভাবে বলা কঠিন। অনেকেই মনে করেন, দৈনন্দিন জীবনের জটিল ঘটনাগুলো এত বিশাল স্কেলের যে সেগুলো কার্যত নিউটোনিয়ান ডিটারমিনিজমের মধ্যেই পড়ে। আবার অনেকে মনে করেন, সামান্য অনিশ্চয়তা বা সম্ভাবনার খেলা থেকেও জীবন নতুন মোড় নিতে পারেঅনেকের ই ৮০ বছরের অভিজ্ঞতা থেকে আপনি যদি দেখে থাকেন যে সবকিছু পূর্বনির্ধারিত, তাহলে সেটি তাদের বাস্তব জীবনের(মানব সভ্যতার জীবন চল দেখে অভিজ্ঞতা অনুযায়ী)পর্যবেক্ষণের উপর ভিত্তি করে গঠিত একটি মূল্যবান উপলব্ধি। তবে, বিজ্ঞান এখনও এই প্রশ্নের চূড়ান্ত উত্তর দিতে পারেনি কারণ nature অনেক সূক্ষ symmetry calculation এ চলে যত precission এ মানুষ এর জীবন যাপন চলে না।জগৎ কি আসলেই পূর্বনির্ধারিত, নাকি এখানে প্রকৃত অনিশ্চয়তা রয়েছে? এই অনিশ্চয়তা টা কি মানুষ এর calculation করার অক্ষমতার কারণে???  সেইটাও একটা প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায়।হয়তো এই প্রশ্নের উত্তর কখনোই সম্পূর্ণভাবে পাওয়া যাবে না, বা হয়তো ভবিষ্যতের কোনো গবেষণা আমাদের আরও কাছাকাছি নিয়ে যাবে।

এটি সেই ধরনের গভীর প্রশ্ন, যা আমাদের চিন্তার জগতে আলোড়ন তোলে এবং আমাদের বাস্তবতা সম্পর্কে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করে।


Himanshu Pal Sir এর অভিজ্ঞতা 
Pritam Biswas আমার পরা-স্বাভাবিক অভিজ্ঞতা

           এখানে আমি আমার জীবনের কয়েকটি বিশেষ অভিজ্ঞতার কথা লিপিবদ্ধ করছি, যেগুলিকে para-normal পর্য্যায়ে ফেলা চলে।

           এক ধরনের পরা-স্বাভাবিক ক্ষমতা আমার ছিল, এবং এখনও আছে। যদি এমন হয় যে এই পৃথিবীর কোথও না কোথাও কারও না কারও খুব শীঘ্রই মৃত্যু ঘটতে চলেছে, তাহলে আগে থাকতেই তার একটা আভাস আমি পাবোই পাবো, এমন কি বিশেষ কয়েকটি ক্ষেত্রে মৃত্যুর কয়েকমাস আগে থাকতেই পাবো। আমি অবশ্য নির্দিষ্ট করে বলতে পারব না কার মৃত্যু হতে চলেছে, কিন্তু এটুকু অন্তত নিশ্চিতভাবেই বলতে পারব যে কিছুদিনের মধ্যেই আমি একটি মৃত্যুসংবাদ পেতে চলেছি, মৃত ব্যক্তিটির সঙ্গে আমার রক্তের সম্পর্ক থাকুক চাই না থাকুক। তিনটি বৃত্তের মধ্যে এই ধরণের মূত্যু ঘটতে পারে: (১) পারিবারিক বৃত্ত, (২) বন্ধু ও পরিচিতদের বৃত্ত, এবং সবশেষে (৩) নামজাদা, খ্যাতিমান ও প্রতিষ্ঠিত মানুষদের বৃত্ত। এইসব খ্যাতিমান ও প্রতিষ্ঠিত মানুষেরা স্থানীয়, আঞ্চলিক, জাতীয় এবং এমনকি আন্তর্জাতিক স্তরেরও হতে পারেন। তবে সবকটি ক্ষেত্রে একটি শর্ত পূরণ হতেই হবে: যাঁর মৃত্যু হতে চলেছে, তাঁর মৃত্যুসংবাদ আমার কাছে কোনো না কোনো ভাবে পৌঁছে যাওয়া চাই। একমাত্র সেক্ষেত্রেই আমি তাঁর মৃত্যুর আগাম আভাস পাবো। এখন আমি কীভাবে আগে থাকতে জানতে পারি যে এই পৃ্থিবীর কোথাও না কোথাও কারও না কারও মৃত্যু ঘটতে চলেছে? এর কতকগুলো সাধারণ লক্ষণ আছে। একটা লক্ষণ হল এই যে, হঠাৎই আমার মেজাজটা ভীষণভাবে খারাপ হয়ে যাবে। জীবনের কোনো ভালো দিক আমার চোখে পড়বে না, সমস্ত কিছুতেই আমার আগ্রহ চলে যাবে। এই জীবনের সমস্ত কিছুই আমার মনে হবে অর্থহীন, মিথ্যা, মায়া, তুচ্ছ, অকিঞ্চিৎকর। আমি যা কিছু বর্তমানে করছি, বা ভবিষ্যতে যা কিছু করার পরিকল্পনা করছি - সে সমস্ত কিছুই মনে হবে অসার, একেবারেই অসার। "Vanity of vanities, all is vanity". যখন এই ধরণের মেজাজ আমার উপর প্রবলভাবে চেপে বসবে, তখন আমি বুঝতে পারব যে এই পৃথিবীর কোথাও না কোথাও কোনো একজন মানুষের মৃত্যু আসন্ন হয়ে এলো। তারপর আবার একদিন সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে, এবং আমি আবারও নিছক বেঁচে থাকার মধ্যেই আনন্দ খুঁজে পাবো। তারপর আমি একটা মৃত্যুসংবাদ পাবো, হয় সংবাদপত্রের মাধ্যমে, অথবা টেলিফোনে, অথবা অন্য কোনো উপায়ে; এক্ষেত্রে কী উপায়ে, সেটা নির্ভর করবে কোন্ বৃত্তের মধ্যে মৃত্যুটা ঘটেছে তার ওপর। আরও একটা লক্ষণ হল এই যে, সেই দিনগুলোতে আমার প্রায় বাকরোধ হবার উপক্রম হবে। একটা শব্দ উচ্চারণ করাটাও আমার পক্ষে তখন রীতিমতো কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। সেই সব দিনে আমার মনে হবে আমি যদি কারও সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করি, তবে আমার গলা দিয়ে একদলা কান্নাই বেরিয়ে আসবে। তাই যখন আমার কারও সাথে কথা বলার একান্তই প্রয়োজন হয়ে পড়ে, তখন প্রচণ্ড চেষ্টায় আমি আমার এই কান্নার আবেগ দমন করি, কেবল তখনই আমি কথা বলতে সক্ষম হই। আমি কিছুতেই বুঝে উঠতে পারি না কেন আমার থেকে থেকে কেবলই কান্না পাচ্ছে, বা কেন আমার গলা দিয়ে কান্না ঠেলে বেরিয়ে আসতে চাইছে। কিন্তু যখন আমি কারও মৃত্যুসংবাদ পাই, তখন সবকিছুই আমার কাছে স্পষ্ট হয়ে যায়। আরও একটা লক্ষণ হল এই যে, আমি হয়ত বালিশে মাথা দিয়ে চুপচাপ বিছানায় শুয়ে রয়েছি, ঘুম আসে নি। হঠাৎ দেখা যাবে আমার মনটা কখন যেন আপনা থেকেই "হে ভগবান, হে ভগবান, হে ভগবান" আওড়াতে শুরু করে দিয়েছে। এইভাবে বেশ কিছুক্ষণ আমার মনের এই "হে ভগবান" আওড়ানো চলতেই থাকবে, তারপর একসময় আপনা থেকেই বন্ধ হয়ে যাবে। যখন আমার মনটা এইভাবে "হে ভগবান" আওড়াতে থাকে, তখনই আমি বুঝে যাই যে আরও একজন মানুষ খুব শীঘ্রই এই পৃথিবীকে চিরবিদায় জানাতে চলেছেন।

Pritam Biswas আমার পরা-স্বাভাবিক অভিজ্ঞতা

      এ ছাড়াও আরও একটি লক্ষণ আছে, চারটি লক্ষণের মধ্যে সবচেয়ে বেশী রহস্যময়। আমার মনে হবে আমাকে যেন অন্য কোনো কালে, অন্য এক প্রাচীন শতাব্দীতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই সময়টা যেন ঠিক এই সময় নয়, এই সময়টা যেন বহু শতাব্দী আগে পৃথিবীর বুক থেকে চিরতরে হারিয়ে যাওয়া কোনো একটা সময়। আমি আমার আশেপাশে যেসব মানুষজনকে দেখছি, তারা ঠিক এই সময়কার মানুষজন নয়, তারাও যেন বহুকাল আগে হারিয়ে যাওয়া সেই সময়কার মানুষজন। যে রাস্তা ধরে আমি হাঁটছি, সেটাও যেন সেই পৃথিবীরই রাস্তা। আমার মনে হবে আমি এমন এক জগতে আছি যা বহু শতাব্দী আগে এই পৃথিবীতেই ছিল, কিন্তু তা চিরকালের জন্য পৃথিবীর বুক থেকে মুছে গিয়েছে। তখন আমার আশেপাশের সবকিছুর অপর যেন এক অবাস্তবতার পর্দা পড়ে রয়েছে মনে হবে। যখন আমার এই ধরণের একটা অনুভূতি হবে, তখনই আমি আবারও বুঝে যাব যে এই পৃথিবীর কোথাও না কোথাও কারও না কারও নির্ঘাৎ মৃত্যু হতে চলেছে। যদিও প্রথম দুটি ক্ষেত্রে আমার কষ্টটা একেবারে  সহ্যের অতীত, কিন্তু এই চতুর্থ ক্ষেত্রে আমার অভিজ্ঞতাটা আমি উপভোগই করি। কেননা কেউ যদি বর্তমান সময়টাকে বহু শতাব্দী আগে হারিয়ে যাওয়া কোনো একটা সময় হিসাবে দেখতে পারে, তবে তার চেয়ে রহস্যময় আর কিছুই হতে পারে না। পদার্থবিজ্ঞানীরা হয়ত একমত হবেন না, কিন্তু আমার ধারণা এই অভিজ্ঞতাকে এক ধরণের কালান্তর ভ্রমণ নামে অভিহিত করা যায়, কারণ আমি এই শতাব্দীটাকে ফেলে আসা এক শতাব্দী হিসাবে দেখছি। আমার চেতনা যেন বেশ কয়েক শতাব্দী আগে চলে গিয়েছে, আর সেখান থেকে আমি যেন এই শতাব্দীটাকে বহুকাল আগে হারিয়ে যাওয়া এক শতাব্দী হিসাবে দেখছি। এটাকে যদি কালান্তর ভ্রমণ না বলা যায়, তবে কোনটাকে বলা যাবে? এইরকম এক অভিজ্ঞতার পর্বে আমার স্ত্রীকে এত দূরকালের মানুষ বলে প্রতিভাত হয়েছিল যে, মনে হয়েছিল তিনি যেন প্রাগৈতিহাসিক সময়ের কোনো এক রমণী। অর্থাৎ আমি যেন প্রাগৈতিহাসিক সময়ের এক নারীকে আমার চোখের সামনে একেবারে জলজ্যান্ত অবস্থায় দেখতে পাচ্ছি। যদিও এটা ছিল একটা অবভাস মাত্র, কেননা বাস্তব সত্য কোনোভাবেই হতে পারে না, তবু প্রাচীন কোনো এক শতাব্দীর নারী হিসাবে তাঁর চেহারা আমার চোখে ভীষণ বাস্তব হয়েই ধরা দিয়েছিল।

Pritam Biswas আমার পরা-স্বাভাবিক অভিজ্ঞতা

      ২০১৪ সালের ১৪ই সেপ্টেম্বর ঠিক এই ধরণের একটি অভিজ্ঞতা আবার হয়েছিল আমার। এটা ছিল সেই দিন যে দিন জোড়া মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল, বিনয় কোঙার এবং সৈফুদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যু হয় ঐ একই দিনে। অবশ্য আমি বিকেলের আগে কোনো মৃত্যুসংবাদ পাই নি, আর সেদিন ঘটনাটা ঘটেছিল সকাল সাড়ে দশটা-এগারোটা নাগাদ। আমি বাজার থেকে ফিরছি, আবার হঠাৎ আমার মনে হল এই সময়টা ঠিক এই সময় নয়, এই সময়টা যেন কয়েক হাজার বছর আগেকার কোনো একটা সময়। আমি যেন এই সময়কার পৃথিবীর জনজীবন, জীবনযাত্রাকে প্রত্যক্ষ করছি না, আমি কীভাবে যেন সেই কয়েক হাজার বছর আগেকার পৃথিবীতে এসে পড়েছি, আর আমি যেন সেই সময়কার পৃথিবীর জনজীবন, জীবনযাত্রাকে প্রত্যক্ষ করছি। এতই তীব্রভাবে এই বোধটা আমার হচ্ছিল যে এই সময়টা অন্য কোনো সময়, আমার মনে হচ্ছিল আমি রাস্তার প্রত্যেকটি মানুষকে ডেকে ডেকে বলি: "শোনো, তোমরা কেউই এই পৃথিবীর মানুষজন নও, তোমরা কয়েক হাজার বছর আগেকার পৃথিবীর মানুষজন।" আর আমার স্পষ্ট মনে আছে পরের কয়েকটা দিন আমি মনে মনে শুধুই উচ্চারণ করে চলেছিলাম: "কী অদ্ভুত! কী অদ্ভুত!" 

        আরও কিছু ঘটনার কথা বলি। একবার আমি জেনেছিলাম প্রখ্যাত অভিনেতা শম্ভু মিত্র মারা যাবেন। কিন্তু সেবারে শম্ভু মিত্র আদৌ মারা যান নি, মারা গিয়েছিলেন সঞ্চয়িতার কুখ্যাত শম্ভু মুখার্জী। অর্থাৎ এক্ষেত্রে আমার মনটা আংশিক সত্যটুকু জানতে পেরেছিল মাত্র, পূর্ণ সত্য নয়।

      এই আংশিক সত্য জানবার ঘটনা আমার জীবনে আরও একবার ঘটেছিল। একদিন রাত্রিবেলা কী কারণে জানি না, সারারাত সেদিন ঘুম এলো না; আধো তন্দ্রা, আধো জাগরণের মধ্যে দিয়ে সারারাত কাটলো সেদিন। শেষের দিকে একটু তন্দ্রা মতো এসেছিল। তারপর যখন ভোরে ঘুম ভাঙ্গল, আমার মনটা আমাকে হঠাৎ শোনালো যে, আমার মেয়ে বিধবা হবে। যে সময়ের কথা বলছি, সেই সময়ের কয়েক মাস আগে আমার মেয়ের রেজিষ্ট্রি বিবাহ সম্পন্ন হয়েছিল, কিন্তু অগ্নিসাক্ষী করে বিয়ে, সিঁদুরদান - সে সব কিছুই হয় নি। যাঁরা ধর্মীয়মতে বিয়েটাকেই একমাত্র বিয়ে বলে মানেন, তাঁরা এই অবস্থায় আমার মেয়েকে বিবাহিত বলে মানবেনই না।  অথচ আমি স্পষ্ট শুনলাম যে আমার মেয়ে বিধবা হবে। আসলে সেদিন যা ঘটল, তা হল এই: সেদিন দুপুরবেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ ব্যারাকপুরে আমার মেজো বোনের স্বামী মারা গেলেন। অর্থাৎ, আমার মেজো বোন বিধবা হল।


Comments

Popular posts from this blog

SANJOYNATHSMANIMMOVIES___SCENE.PY

GTTERMS_FORMALIZATION_GEOMETRIFYING_TRIGONOMETRY

MOTIVES AND THE AXIOMS OF GEOMETRIFYING TRIGONOMETRY