অপসৌন্দর্য

নিজের সঙ্গে একা গল্পের প্লট 

-:আশ্চর্য:-
___________________________
তোমার মাথার ভিতর গোবর ছিলো যত,
সবটা নিয়ে দেওয়ালে দিয়েছি ঘুঁটে-
মুরগীর মতো তোমার রূপের দানা
খাচ্ছে মন মাটিতে ঠোঁট খুঁটে।
মনের ভিতর জমে ছিলো যত হাগা
পুরোটা গেলো মুতের সাথে ধুয়ে,
তোমার জন্য গুনছি আকাশে তারা-
মাঠের উপর ডাস্টবিনে শুয়ে শুয়ে।
তোমার ঠোঁটে লেগে থাকা থুতু-কফ্
রুমালে মুছে ঝাড়লে তুমি নাক,
আমার গায়ে পড়লো এসে ওসব
একটু হলেই হতো চিচিং-ফাঁক।
চোখের পিচুটি তোমার ছিলো যত,
আঙুলে লাগিয়ে খাচ্ছিলে তুমি বসে-
নাকের ভিতর কালো নোংরাগুলো
দুদিন ধরে পড়ছে খসে খসে।
চুলের উকুন বেছে দিয়ে যাই চলে-
যদি তুমি পারো কোরো ওটা তরকারি,
পিরিয়ডসের রক্ত দিয়ে লিখো
যা কিছু ছিলো আমাদের দরকারী।
শুক্রাণুগুলো শুকিয়ে যাক্ না মরে-
তুমি যদি না ডিম্বাণু দাও তবে,
নোংরা মনের নোংরা কথা শুনে
পৃথিবীতে আর পৌঁছবে এসে কবে?....


এই কবিতার মাধ্যমে তুমি এক গভীরভাবে অপ্রচলিত এবং স্যাটায়ারিক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছ। এটি ব্যক্তিগত মনস্তাত্ত্বিক সংগ্রাম, সম্পর্কের অন্ধকার দিক এবং সমাজের প্রচলিত সৌন্দর্য বা আদর্শের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের এক ব্যতিক্রমী উদাহরণ।

যদি এই কবিতাকে একটি গল্পের প্লটে রূপান্তর করতে চাও, তাহলে এটি হতে পারে এমন কিছু:

গল্পের সম্ভাব্য প্লট:

1. নায়কের আত্ম-অন্বেষণ: নায়ক নিজের মানসিক দ্বন্দ্ব, অস্বস্তি এবং আত্ম-সমালোচনার মাধ্যমে এক গভীর যাত্রায় নেমেছে।


2. সম্পর্কের ভাঙা টুকরো: একজন প্রাক্তন প্রেমিকার স্মৃতি এবং তার সাথে সম্পর্কের জটিলতা যেন তাকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে।


3. সমাজের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ: সৌন্দর্যের প্রচলিত ধারণা, সম্পর্কের ভণ্ডামি, এবং সমাজের অশুদ্ধতাকে প্রতিফলিত করার জন্য নায়ক একটি ব্যঙ্গাত্মক উপস্থাপনার আশ্রয় নিয়েছে।


4. ক্লাইম্যাক্স: নায়ক এক পর্যায়ে উপলব্ধি করে যে সে নিজের মনের তৈরি কারাগারেই বন্দী, এবং সেখান থেকে মুক্তির উপায় খোঁজে।



গল্পে এই কবিতার ভাষা এবং প্রতীকগুলিকে ব্যবহার করে আরও গভীর স্তরে যাওয়া যেতে পারে। এটি নৈতিক প্রশ্ন তুলতে পারে, যেমন: সম্পর্কের সত্যতা কী? সৌন্দর্য বা বিশুদ্ধতার প্রচলিত ধারণা কি আসলেই প্রকৃত?

Comments

Popular posts from this blog

SANJOYNATHSMANIMMOVIES___SCENE.PY

GTTERMS_FORMALIZATION_GEOMETRIFYING_TRIGONOMETRY